আজ শিল্পকলার মঞ্চে ‘আগুনযাত্রা’

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরীক্ষণ থিয়েটার হলে আসছে প্রাচ্যনাটের ৪১তম প্রযোজনা 'আগুনযাত্রা'।
আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টা ও সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় নাটকটির মঞ্চায়ন হবে। নাটকটি দেখার সময় শিশুদের সঙ্গে না নিয়ে আসার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেছে প্রাচ্যনাট কর্তৃপক্ষ।
ভারতের নাট্যকার মহেশ দাত্তানির লেখা 'সেভেন স্টেপ এরাউন্ড দ্য ফায়ার' থেকে অনুবাদ করেছেন শহীদুল মামুন। রূপান্তর ও নির্দেশনা দিয়েছেন আজাদ আবুল কালাম।
নাটকটি প্রসঙ্গে প্রাচ্যনাট জানায়, উমার গবেষণার বিষয় হিজড়া বা রূপান্তর কামী মানুষ অথবা তৃতীয় লিঙ্গ। এই গবেষণার সূত্র ধরে সে কমলার হিজরার হত্যাকাণ্ডের সূত্র খুঁজে পায়। কমলাকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে এবং এই হত্যাকাণ্ডের জন্য আনারকলি নামে আরেক হিজড়া হাজত বাস করছে। উমার স্বামী জেলপুলিশে ঊধ্বর্তন কর্মকর্তা, সেই সুবাদে আনারকলির সাথে সাক্ষাৎ করা সহজ হয় উমার এবং আরতও কিছু সুত্র খুঁজে খুঁজে সে হিজড়াদের ডেরায় প্রবেশ করে। উমার এই গবেষণা শুধু গবেষণার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না, সে জড়িয়ে পড়ে এই সম্প্রদায়ের মানুষদের সাথে মায়া আর দায়িত্বের বন্ধনে। উমার হারিয়ে যাওয়া এক ভাই বা বোন তৃতীয় লিঙ্গের। উমা যে নোতাকে ও খুঁজে ফেরে। ঘটনার সত্যতা উদঘাটন করতে গিয়ে উমা অনেক অজানা অচেনা জগত আবিষ্কার করে-সেই সাথে কমলার হত্যাকাণ্ডের রহস্য ও উদঘাটিত হয়।
লিঙ্গ পরিচয় আড়াল করে কমলাকে কোনো এক মন্দিরে পুরোহিতের অজ্ঞাতে মন্ত্রী পুত্র সুব্বু বিয়ে করে। সুব্বুর এই বিয়ের খবর মন্ত্রীর কাছে পৌঁছালে তার আভিজাত্যে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। দেহরক্ষী সালিমের মাধ্যমে কমলাকে আগুনে পুড়িয়ে মারার ব্যবস্থা করে সুব্বু-কে সম্ভ্রান্ত পরিবারের সুপাত্রীর সাথে আবার বিয়ের বন্দোবস্ত করে। বিয়ের লগ্ন শেষ হতেই সুব্বু কমলা হত্যার ঘটনা জানতে পারে এবং নিজে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।
এই নাটকে অভিনয় করেছে শাহেদ আলী, সানজিদা প্রীতি, শারমিন আক্তার শর্মী, প্রদ্যুৎ কুমার ঘোষ, ফরহাদ হামিদ, মো. আব্দুর রহিম খান, রকি খান, তানজি কুন, ডায়ানা ম্যারলিন, ফয়সাল সাদী, আহমেদ সাকি, তমাল, রানা নাভেদ, উচ্ছাস তালুকদার। মঞ্চ ও আলো পরিকল্পনা করেছেন মো. সাইফুল ইসলাম। সঙ্গীত পরিকল্পনা করেছেন রাহুল আনন্দ।
কোরিওগ্রাফি করেছেন স্নাতা শাহরিন। প্রপস পরিকল্পনা করেছেন তানজিকুন এবং পোশাক পরিকল্পনা করেছেন আফসান আনোয়ার। ভিডি ও নির্মাণ ও প্রক্ষেপণে রয়েছেন শাহরিয়ার শাওন ও রিপন কুমার দাস ধ্রুব।
Comments