ফরসা হওয়ার ক্রিম মেখেছিলাম, কোনো লাভ হয়নি: নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকী

নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকী। ছবি: সংগৃহীত

নিজের চেহারা নিয়ে দীর্ঘদিন আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভুগেছেন এই বলিউড তারকা। এ কারণে একটা সময় ফরসা হওয়ার ক্রিম ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি, তবে এতে কোনো উপকার হয়নি।

অসাধারণ অভিনয় ও ভালো সিনেমার মাধ্যমে দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছেন বলিউড অভিনেতা নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকী। এ কারণে বলিউডে তার অবস্থান দৃঢ় হয়েছে। তবে সিনেমাজগতে তার যাত্রা শুরুর পথটা মোটেও মসৃণ ছিল না। অভিনয়জীবনের শুরুতে 'প্রথাবিরুদ্ধ' নায়কের তকমা পেয়েছিলেন 'বজরঙ্গি ভাইজান' এর এই অভিনেতা।

'গ্যাংস অব ওয়াসিপুর' সিনেমার দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নওয়াজুদ্দিন বলেন, 'জীবনের একটা লম্বা সময় জুড়ে আমিও ভাবতাম আমি দেখতে ভালো না। একটা সময় নিজের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী হতে শুরু করি। তখন বুঝতে পারি আত্মবিশ্বাসী হওয়া কতটা জরুরি।'

তিনি জানান, গায়ের রঙের কারণে তার আত্মবিশ্বাস অনেক কমে গিয়েছিল। তখন নানারকমের ক্রিম ব্যবহার করা শুরু করেন, কিন্তু কিছুতেই কাজ হচ্ছিল না। পরবর্তীতে বুঝতে পেরেছিলেন তিনি যেমন আছেন, তেমনই থাকবেন।

নওয়াজুদ্দিন বলেন, 'যেহেতু অন্যেরা ভাবত আমি দেখতে ভালো না, আমার মধ্যেও নিজের ব্যাপারে বিরূপ ধারণা জন্মেছিল।'

পরে সেই পরিবেশ থেকে বেরিয়ে আসার পর তার দৃষ্টিভঙ্গি বদলে যায়। তিনি বুঝতে পারেন তার নিজের মধ্যে কিংবা চেহারায় কোনো সমস্যা নেই।

বলিউডের এই শক্তিশালী অভিনেতার মতে, চারপাশের মানুষের কারণেই আমাদের আত্মবিশ্বাস নষ্ট হয়, নিজের ব্যাপারে সংকোচ তৈরি হয়। তিনি বলেন, 'প্রতিটি মানুষেরই জীবনের একটা পর্যায়ে গিয়ে আত্মবিশ্বাসী হওয়া খুব দরকার। চেহারা বা গায়ের রং নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে না ভুগে নিজের যা আছে, তা মেনে নিতে হবে ও এ ব্যাপারে সন্তুষ্ট হতে শিখতে হবে।'

‘বজরঙ্গি ভাইজান' সিনেমার দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত

'বজরঙ্গি ভাইজান'এ এই অভিনেতার ক্যারিয়ার এমন একটা সময়ে শুরু হয়েছে যখন বলিউডে প্রচলিত, সুদর্শন চেহারা ও চেহারার দিক থেকে প্রচলিত ধারার বাইরের অভিনেতাদের নিয়ে তুমুল বিভক্তি চলছিল।

নওয়াজুদ্দিনকেও প্রায় এক দশকের মত এসবের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে হয়েছিল। নওয়াজের ভাষায়, 'আমি অভিনয় করতে পারি এ বিষয়টি প্রমাণ করতেই আমার ১০ থেকে ১২ বছর সময় লেগেছিল। এই তথাকথিত সুদর্শন ও অপ্রচলিত চেহারার পার্থক্য থাকবেই কারণ প্রতিটি মানুষের মধ্যে সুন্দর অসুন্দরের একটা গতানুগতিক ধারণা ও ছবি ছোটবেলা থেকেই ঢুকিয়ে দেয়া হয়। এই ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে পারাটাই আসল চ্যালেঞ্জ।'

অবশ্য তিনি এটাও স্বীকার করেন যে দর্শকদের মধ্যে আগের তুলনায় এখন অগতানুগতিক অভিনেতাদের গ্রহণযোগ্যতা অনেক বেড়েছে।

তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

গ্রন্থনা: জোহানা নিশো

Comments

The Daily Star  | English
Anti-Terrorism Act

Govt issues ordinance amending Anti-Terrorism Act

Activities of certain entities, and activities supporting them can now be banned

1h ago