‘পাকিস্তান থেকে অনেক ভালোবাসা পেয়েছি, এখনো অনুভব করি আমরা সবাই এক’

'হীরামান্ডি' সিরিজের পোস্টার ও পরিচালক সঞ্জয় লীলা বানসালি। ছবি: সংগৃহীত

সাড়া ফেলেছে সঞ্জয় লীলা বনসালি নির্মিত প্রথম ওয়েব সিরিজ 'হীরামান্ডি: দ্য ডায়মন্ড বাজার'। স্বাধীনতা-পূর্ব পাঞ্জাবের একটি সেট তৈরি করে সিরিজটির শুটিং হয়েছে। সেই স্থানটি এখন পাকিস্তানের অংশ।

অবিভক্ত ভারতের প্রেক্ষাপটের নির্মিত এ সিরিজ নিয়ে সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিওয়্যার-এ সাক্ষাৎকার দিয়েছে সঞ্জয় লীলা বানসালি।

তিনি জানান, পাকিস্তান থেকে প্রচুর ভালবাসা পেয়েছেন তিনি। সেখানকার দর্শকরা হীরামান্ডি নিয়ে সত্যিই আগ্রহী।

বানসালি বলেন, 'আমি পাকিস্তান থেকে এত ভালবাসা পেয়েছি, তারা সবাই সিরিজটির জন্য অপেক্ষা করছে, কখন গল্পটি বলা হবে সেজন্য অপেক্ষা করছে। এটি এমন একটি বিষয় যা বলতে গেলে আমাদেরকে একত্রিত করে। সমস্ত ভারত যখন এক ছিল, যখন আমরা অবিভক্ত ছিলাম তখনটার গল্প। হীরামান্ডির এই চরিত্রগুলো যতটা তাদের (পাকিস্তানি) ততটা আমাদেরও (ভারতীয়)।

'আমি এখনও অনুভব করি যে আমরা সবাই এক, আমি এখনও অনুভব করি যে আমরা সবাই অনেকভাবে সংযুক্ত। কিছু লোক যারা সমস্যা তৈরি করতে চায় তাদেরকে বাদ দিলে, দুপক্ষের মানুষেরই দুপক্ষের মানুষের জন্য প্রচুর ভালবাসা রয়েছে।'

সমালোচনার বিষয়ে এ নির্মাতা আরও বলেন, 'এই চরিত্রগুলোর মধ্যে এমন কিছু জিনিস আছে যা আমার কাজের সঙ্গে মানুষকে সংযুক্ত করে। সেজন্য তারা আমার কাজ নিয়ে কথা বলে। অনেকে পছন্দ করবে, অনেকে পছন্দ করবে না। এটাই দর্শক ও চলচ্চিত্র নির্মাতার মধ্যে দেওয়া-নেওয়ার একটি অংশ। যখন দর্শক আমার প্রশংসা করে তখন সেটায় আমার আপত্তি নেই। একইসঙ্গে যখন দর্শক আমার কাজের সঙ্গে সংযুক্ত হতে পারে না তখন সমালোচনা করে। এটায়ও আমার আপত্তি নেই।'

১৯৪০ এর দশকের ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের পটভূমিতে তৈরি 'হীরামান্ডি: দ্য ডায়মন্ড বাজার'। সিরিজটিতে দেখানো হয়েছে লাহোরের এক যৌনপল্লির গল্প। চরিত্রগুলোতে তখনকার সময়ের প্রেম, বিশ্বাসঘাতকতা, উত্তরাধিকার ও রাজনীতির মতো বিষয়গুলো উঠে এসেছে। এতে অভিনয় করেছেন মনীষা কৈরালা, সোনাক্ষী সিনহা, রিচা চাড্ডা, অদিতি রাও হায়দারি এবং ফারদিন খানসহ অনেকে।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh trade deficit July-August FY25

Trade deficit narrows 2.6% in July-April

The country’s trade deficit narrowed by 2.60 percent in the first ten months of the current fiscal year compared to the same period a year ago, thanks to a rise in export earnings coupled with subdued imports..During the July-April period of fiscal year (FY) 2024-25, the trade gap was $18.

5h ago