‘মেয়ের ইচ্ছে পূরণ হয়েছে’

যুক্তরাষ্ট্রে বাঁধন ও তার মেয়ে। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

রেহানা মরিয়ম নূর খ্যাত অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন তার মেয়ে সায়রাকে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রে। গত ১০ ডিসেম্বর তারা সেখানে গিয়েছেন। মনের মতো করে ঘুরছেন, ছবি তুলছেন, আনন্দ করছেন।

আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া থেকে বাঁধন আজ সোমবার সকালে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মা মেয়ে মিলে অনেক মজা করছি। অনেক আনন্দ করছি। একজীবনে দারুণ কিছু সুখের স্মৃতি জমা হচ্ছে। সুখের অনুভূতি জীবনকে রঙিন করছে।'

'আমার মেয়ের প্রথম ট্যুর ছিল আমেরিকায়। তখন ভেবেছিলাম আর কি কখনো মেয়েকে নিয়ে ভ্রমণ করতে পারব? কিন্তু সৃষ্টিকর্তার দয়ায় তা পেরেছি। জীবন সত্যি আনন্দের', বলেন তিনি।

মেয়ের ইচ্ছে পূরণ হয়েছে উল্লেখ করে বাঁধন আরও বলেন, 'মেয়ের ইচ্ছে পূরণ হওয়ায় আমি ভীষণ খুশি। মেয়ের ইচ্ছে ছিল তুষারপাত দেখবে। এখানে কদিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। মেয়ে তুষারপাত দেখছে। বরফের মধ্যে গিয়ে মা-মেয়ে দারুণ মজা করেছি। এত চমৎকার অনুভূতি হয়েছে, সত্যিই মনে থাকবে অনেকদিন।'

'২০১৯ সালে মেয়ে সায়রাকে নিয়ে আমেরিকায় এসেছিলাম। এটা ছিল মেয়ের প্রথম ট্যুর। তখনও রেহানা মরিয়ম নূর করিনি। তখনো জানতাম না ক্যারিয়ারের কী হবে', বলেন বাঁধন।

সেই সময়ের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, 'তখন মেয়েকে বলেছিলাম, এটাই হয়তো তোমাকে নিয়ে শেষ ট্যুর। কেননা, ট্যুরটা চ্যালেঞ্জিং ছিল। ডিজনিল্যান্ড দেখাতে চেয়েছিলাম মেয়েকে। সেজন্য এসেছিলাম। মেয়েকে নানাভাবে প্রলোভন দেখানো হয়েছিল ওই সময়ে। মেয়েকে বলেছিলাম, মা আমার অত ক্যাপাবিলিটি নেই। কিন্তু, গত ৩ বছরে আমাকে সৃষ্টিকর্তা যে জায়গায় আমাকে এনেছেন, সৃষ্টিকর্তার কাছেও গ্রেটফুল, নিজের কাছেও গ্রেটফুল। গত ২ বছরে প্রচুর ট্রাভেল করেছি। জীবনে যা হয় তা হয়তো ভালোর জন্য হয়। তখন সেভিংস ভেঙে এসেছিলাম। এজন্যই মেয়েকে বলেছিলাম আর হয়তো আসতে পারব না।'

বাঁধন ও তার মেয়ে সায়রা আমেরিকার বেশ কয়েকটি জায়গায় ঘুরেছেন এবারের ট্যুরে। খুব শিগগিরই তারা ফিরবেন দেশে। দেশে ফিরে বাঁধন ঢাকা লিট ফেস্টে অংশ নেবেন।

বাঁধন অভিনীত নতুন ওয়েব ফিল্ম 'গুটি' মুক্তি পাচ্ছে চলতি মাসেই। 'গুটি'তে নতুনভাবে দেখা যাবে এই অভিনেত্রীকে। এ ছাড়া, তার অভিনীত প্রথম হিন্দি সিনেমা 'খুফিয়া' চলতি বছরের মার্চে মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনরা রয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Pathways to the downfall of a regime

The erosion in the credibility of the Sheikh Hasina regime did not begin in July 2024.

9h ago