মনপুরায় ৩ শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত, ভেসে গেছে গবাদি পশু

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে বরিশাল বিভাগের অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ভোলার মনপুরায় প্রথমবারের মতো বাঁধ উপচে পানি ঢুকেছে। এ ছাড়া নদীবেষ্টিত ১ লাখ ২০ হাজার জনবসতি অধ্যুষিত এই উপজেলায় প্রাণিসম্পদের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।
ঝড়ের প্রভাবে ভেঙে গেছে অসংখ্য ঘরবাড়ি। ছবি: সংগৃহীত

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে বরিশাল বিভাগের অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ভোলার মনপুরায় প্রথমবারের মতো বাঁধ উপচে পানি ঢুকেছে। এ ছাড়া নদীবেষ্টিত ১ লাখ ২০ হাজার জনবসতি অধ্যুষিত এই উপজেলায় প্রাণিসম্পদের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।

মনপুরা উপজেলার দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. অলিউল্লাহ দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, প্রথমবারের মতো বেড়িবাঁধ উপচে পানি ভেতরে প্রবেশ করছে। জোয়ারে এই উচ্চতা ৭ ফুটেরও বেশি ছিল।

তিনি বলেন, শুধু আমার ইউনিয়নেই ৩-৪ শ ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে, বেড়িবাঁধের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৫ কিলোমিটার। মহিষ ভেসে গেছে ৩-৪ শ। আমার ৬০টি মহিষের মধ্যে মাত্র ২০টি খুঁজে পেয়েছি। এ ছাড়া এলাকার হরিণসহ অন্যান্য পশু যে কী পরিমাণে ভেসে গেছে তা আমাদেরও হিসাব নেই।

ঝড়ের প্রভাবে ভেঙে গেছে অসংখ্য ঘরবাড়ি। ছবি: সংগৃহীত

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, অন্তত ১০টি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ক্ষতি হয়েছে। জোয়ারে পানির উচ্চতা ৭ ফুটেরও বেশি ছিল, যা ৬ ফুট বেড়িবাঁধ টপকে গেছে। এই উপজেলার অন্তত ১০ হাজার মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া সম্ভব হয়েছে। 

তবে পশু ও মৎস্য সম্পদেরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পুরো ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে আরও কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে বলে জানান তিনি।

স্থানীয় যুবক রাকিব দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, এর আগে তারা বেড়িবাঁধ উপচে পানি প্রবেশ করতে দেখেননি। কিন্তু এবারে জোয়ার এত বেশি ছিল যে, বাঁধ উপচে পানি প্রবেশ করেছে, যা এখনো আছে। 

বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস এম কাউসার দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, বনের কিছু ক্ষয়ক্ষতি হলেও হরিণ ভেসে গেছে কি না এ তথ্য আমরা এখনো জানতে পারিনি।

Comments