বিপৎসীমার নিচে তিস্তা-ধরলা, এখনো ওপরে দুধকুমারের পানি

বন্যায় প্লাবিত লালমনিরহাটের মোগলহাট এলাকা। ছবি: এস দিলীপ রায়/স্টার

তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি নেমে গেলেও এখনো বিপৎসীমার ওপরে রয়েছে দুধকুমার নদের পানি।

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, আজ রোববার সকাল ৬টা থেকে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারেজে ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে এবং লালমনিরহাট সদর উপজেলার শিমুলবাড়ী পয়েন্টে ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার ৭৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ধরলা সেতু পয়েন্টে ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে নাগেশ্বরী উপজেলার পাটেশ্বরী পয়েন্টে এ নদের পানি ২২ সেন্টিমিটার কমে এখনো বিপৎসীমার ৯ সেন্টিমিটার ওপরে আছে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'দুধকুমার ছাড়া ব্রহ্মপুত্রসহ সব নদ-নদীর পানি এখন বিপৎসীমার নিচে রয়েছে। আশা করছি আগামীকালকের মধ্যে দুধকুমারের পানিও বিপৎসীমার নিচে চলে আসবে। আগামী ৩-৪ দিন নদ-নদীর পানি উঠানামা করতে পারে। তবে এই মুহুর্তে বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কা নেই।'

তিস্তা ও ধরলাপাড়ে বন্যাদুর্গতের অনেকেই আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন। লালমনিরহাট সদর উপজেলার চর ফলিমারী গ্রামের বন্যাদূর্গত কৃষক মজম আলী (৬০) দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বাড়িঘর থেকে নদীর পানি নেমে যাওয়ায় আমরা আজ সকালে বাড়িতে ফিরে এসেছি।'

তবে খাবার ও পানির অভাবে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার সারডোব এলাকার বন্যাদুর্গত দিনমজুর নজরুল ইসলাম (৪৮) দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বাড়ি থেকে নদীর পানি নেমে গেছে। বন্যার পানি নেমে গেলেও গ্রামের রাস্তাঘাটগুলো চলাচলের অনুপযোগী হয়ে গেছে।'

দুধকুমারপাড়ে বন্যা উপদ্রুত এলাকার অনেক বাড়িতে এখনো পানি রয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Wasa water stinks

However, the state-run agency claims the water is of standard quality when it leaves their facilities

12h ago