রাঙ্গামাটির ৭১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বন্যার ক্ষত
এখনো বন্যার রেশ কাটিয়ে উঠতে পারেনি রাঙ্গামাটি। টানা ৮ দিনের বৃষ্টিতে বন্যা ও পাহাড় ধসে এই জেলার ৭১টি স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানি নেমে গেলেও এসব স্কুলের শ্রেণিকক্ষের আসবাব ডুবে আছে কাদায়।
রাঙামাটি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদ হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, জেলার ৭১টি প্রাথমিক স্কুল বন্যা প্লাবিত হয়েছিল। গত ৩ দিন বৃষ্টি কম হওয়ায় বিভিন্ন এলাকা থেকে বন্যার পানি নেমেছে। কিন্তু কাদা জমে থাকায় পাঠদান সম্ভব হচ্ছে না। এর মধ্যে জুরাছড়ি উপজেলায় ১১টি, রাজস্থলীতে ১০টি, বাঘাইছড়িতে ১৪টি এবং বিলাইছড়িতে ৮টি স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ চিত্র পেতে আরও ২-৩ দিন সময় লাগতে পারে।
বিলাইছড়ির ফারুয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা চাপচার বম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, পাহাড়ের বন্যা তো ভয়ংকর। বাড়ির আসবাবপত্র থেকে শুরু করে আমার চতুর্থ শ্রেণির ছেলের সব বই ভেসে গেছে। নিজেরা কোথায় থাকব সেই চিন্তায় আছি। স্কুলের অবস্থাও খারাপ। স্কুল থেকে যেন আবার বই দেওয়া হয় সে ব্যাপারে কথা বলব।
তৃতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর বাবা জুরাছড়ি উপজেলার বাসিন্দা নিরুদন চাকমা বলেন, আমার ছেলের স্কুল এখনো আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এর মধ্যেও সীমিত পরিসরে ক্লাস নিচ্ছেন শিক্ষকরা।
জুরাছড়ি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কৌশিক চাকমা বলেন, এই উপজেলায় পাহাড় ধসে দুটি স্কুলে ক্ষতি হয়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরও ৪টি স্কুল। তবে অধিকাংশ স্কুল থেকে পানি নেমে যাওয়ায় কাদা পরিষ্কার করে ক্লাস শুরু হয়েছে। দুইটা স্কুল এখনো আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে আছে। আশা করছি আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে সব স্কুল চালু হবে।
ছবিগুলো রাঙ্গামাটির বিলাইছড়ির ফারুয়া এবং জুরাছড়ি থেকে তোলা হয়েছে।
Comments