ঘূর্ণিঝড় রিমাল: ঢাকা, চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ

নিরাপত্তার স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়
স্যাটেলাইট ইমেজ

আসন্ন ঘূর্ণিঝড় 'রিমাল'র কারণে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে নদী বন্দরগুলোতে সতর্কতা নেওয়া হয়েছে।

আজ শনিবার রাত ১০টার পর ঢাকা নদী বন্দর থেকে অভ্যন্তরীণ নৌপথ চলাচলকারী সব লঞ্চ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডাব্লিউটিএ) জানায়, যাত্রীসাধারণের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব মোকাবিলায় চট্টগ্রাম বন্দরের নিজস্ব দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩ নম্বর সংকেত দেওয়া হয়েছে। বন্দরের বহির্নোঙরে পণ্য উঠানো-নামানো এবং মূল জেটিতে পণ্য ও কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং বন্ধ ঘোষণা করেছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখানোর পরপরই বন্দর কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নেয়।

আজ সন্ধ্যায় পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় রিমালে পরিণত হয়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, '৩ নম্বর সংকেতের নিরাপত্তা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে, বন্দরের বহির্নোঙরে পণ্য খালাস বন্ধ করা হয়েছে এবং সব জাহাজকে গভীর সমুদ্রে যেতে বলা হয়েছে।'

তিনি জানান, যেসব জাহাজ থেকে বন্দরের জেটিগুলোতে ইতোমধ্যেই পণ্য ও কন্টেইনার লোড-আনলোড করা হচ্ছে, সেগুলোর কাজ শিগগির শেষ করতে বলা হয়েছে। জেটিতে থাকা সব জাহাজ আগামীকাল সকালে জোয়ারে সময় সাগরের দিকে নিয়ে যাওয়া হবে।

ওমর ফারুক বলেন, 'বন্দরের পণ্য হ্যান্ডেলিংয়ের যাবতীয় যন্ত্রপাতি—ক্রেন, পন্টুন—শক্ত করে বাধা হচ্ছে, শেডগুলোর জন্য অতিরিক্ত নিরাপত্তা গ্রহণ করা হয়েছে। মোট চারটি কন্ট্রোল রুমও খোলা হয়েছে।'

এ ছাড়া, চট্টগ্রাম বন্দর চ্যানেল থেকে সব ধরনের আভ্যন্তরীণ নৌযানকে কর্ণফুলী নদী থেকে উজানে সরে যেতে বলা হয়েছে।

একই কারণে, বন্ধ রাখা হয়েছে মোংলা বন্দরের সব কার্যক্রমও।

 

Comments