মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্র: ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু

নির্মাণাধীন মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। ছবি: স্টার

কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলায় মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের প্রথম ইউনিটে ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে। দ্বিতীয় ইউনিটে শুরু হবে একই বছরের জুলাই মাসে।

৫১ হাজার সাড়ে ৮ শত কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে ইতোমধ্যে পোর্ট ও ভৌত অবকাঠামোর কাজ ৮২ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে, সার্বিক ভৌত অবকাঠামোর কাজ হয়েছে ৬৫ শতাংশ।

মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের পরিচালক আবুল কালাম এসব বিষয় জানিয়েছেন।  

কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির একটি সাব- কমিটির আহ্বায়ক সাবের হোসেন চৌধুরীর নেতৃত্বে সংসদীয় দল মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিদর্শন করেন এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে প্রকল্প পরিচালক আবুল কালাম প্রকল্প বিষয়ে উল্লেখিত তথ্য উপস্থাপন করেন।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, সাবের হোসেন চৌধুরী জানতে চান এই কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কারণে পরিবেশের কোনো ক্ষতি হবে কী না।

এর উত্তরে প্রকল্প পরিচালক সংসদীয় কমিটিকে বলেন, 'পরিবেশ দূষণ রোধে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিশ্চিত করে প্রকল্পের কাজ করা হচ্ছে। জাহাজ থেকে কয়লা নামানোর সময় মাত্র একবার ওই কয়লা দেখা যাবে। তারপর ওই কয়লা সরাসরি প্ল্যান্টে চলে যাবে জেটি থেকে। এতে পরিবেশ দূষিত হবে না।'

বৈঠকে আরও বলা হয়, লোকবল নিয়োগে টেকনিক্যাল কাজ ছাড়া অন্যান্য কাজে স্থানীয়দের প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে।

সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, 'কয়লা বিদ্যুৎ এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টিসহ অন্যান্য কোনো ধরনের সমস্যা যাতে না হয়, সেজন্য কঠোরভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।'

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক।

তিনি বলেন, 'স্থানীয়দের এককালীন অনুদান ও শ্রমিকদের এককালীন অনুদানের প্রতিশ্রুত অর্থ এখনো পুরোপুরি দেওয়া হয়নি।' এ বিষয়ে খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তিনি সংসদীয় কমিটির প্রতি অনুরোধ জানান।

বৈঠকে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ আমিন আল পারভেজ জানান, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণকৃত জমির ৭৫ শতাংশ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। অন্যান্য জমির ব্যাপারে মামলা থাকায় টাকা পরিশোধ করা যাচ্ছে না।

এসময় সংসদীয় সাব-কমিটির সদ্য হাফিজ উদ্দিন মজুমদার, মনজুর হোসেন ও আবিদা আনজুম মিতা এবং পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মামুন আল রশীদসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English
Barishal University protest

As a nation, we are not focused on education

We have had so many reform commissions, but none on education, reflecting our own sense of priority.

10h ago