বিদ্যুৎ ও জ্বালানি

গভীর সমুদ্রের জাহাজ থেকে পাইপলাইনে মহেশখালী আসবে জ্বালানি তেল

গভীর সমুদ্রে নোঙ্গর করা বড় জাহাজ থেকে পাইপলাইনে মহেশখালীতে নির্মিত স্টোরেজ ট্যাঙ্কে আসবে জ্বালানি তেল।
কক্সবাজারের মহেশখালীতে নির্মাণাধীন সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) প্রকল্প। ছবি: সংগৃহীত

গভীর সমুদ্রে নোঙ্গর করা বড় জাহাজ থেকে পাইপলাইনে মহেশখালীতে নির্মিত স্টোরেজ ট্যাঙ্কে আসবে জ্বালানি তেল।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, জ্বালানি তেল ব্যবস্থাপনা সাশ্রয়ী ও টেকসই করতে সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) প্রকল্পটি কার্যকরী অবদান রাখবে। প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে।

বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে জি-টু-জি ভিত্তিতে বাস্তবায়নাধীন সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং পাইপলাইন দিয়ে স্বল্প সময়ে, সাশ্রয়ী খরচে ও নিরাপদে জ্বালানি তেল (ক্রুড ওয়েল ও ফিনিসড প্রোডাক্ট) পরিবহন করা হবে।

প্রতিমন্ত্রী গতকাল বৃহস্পতিবার কক্সবাজারের মহেশখালীতে 'ইন্সটলেশন অব সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) উইথ ডাবল পাইপলাইন' প্রকল্প কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে যুগান্তকারী মেগাপ্রকল্প এসপিএম বা সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিংয়ের নির্মাণকাজ প্রায় শেষ। আশা করছি বছরের মাঝামাঝি থেকে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হবে। এতদিন আমদানি করা জ্বালানি তেল বড় জাহাজ থেকে লাইটার জাহাজ হয়ে রিফাইনারি ট্যাঙ্কে পৌঁছাতে সময় লাগত লাগত ১১-১২ দিন। এসপিএম চালু হলে সমপরিমাণ তেল পরিবহণে সময় লাগবে মাত্র ৪৮ ঘণ্টা। এতে বছরে সাশ্রয় হবে কমপক্ষে ৮০০ কোটি টাকা। একইসঙ্গে কমবে সিস্টেম লস।'

এসময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'প্রকল্পের আওতায় ২২০ কিলোমিটার পাইপলাইনের পাশাপাশি তৈরি করা হয়েছে ৬টি বিশালাকার স্টোরেজ ট্যাঙ্ক, যা বাংলাদেশের তেল মজুদ সক্ষমতাকে নিয়ে যাবে নতুন উচ্চতায়।'

এসপিএম প্রকল্পটি ২০১৫ সালে নভেম্বরে নেওয়া হয়েছিল এবং চলতি বছরের জুনে সমাপ্ত হবে।

এসময় সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক ও প্রকল্প পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মো. শরিফ হাসনাত উপস্থিত ছিলেন।

Comments