৭ মাস পর স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি কিনছে বাংলাদেশ
সাত মাস বন্ধ থাকার পর আবারো আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেট থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) কেনা শুরু করেছে বাংলাদেশ।
অর্থনীতিকে পুরোদমে সচল রাখতে শিল্পকারাখানাগুলোতে জ্বালানি চাহিদা মেটাতে সরকার স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি কেনা শুরু করেছে বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত সপ্তাহে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি (আরপিজিসিএল) ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে ডেলিভারির জন্য একটি এলএনজি কার্গো চেয়েছে।
যদিও এ বিষয়ে দরপত্র আহ্বান করা হয়নি। ইউরোপিয়ান টোটাল এনার্জিজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান প্রতি মিলিয়ন ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট (এমএমবিটিউ) এলএনজি ১৯ দশমিক ৭৪ মার্কিন ডলার দরে সরবরাহের কাজ পেয়েছে। চারটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এই প্রতিষ্ঠানটি সর্বনিম্ন দরদাতা ছিল বলে ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
এর আগে গত বছরের জুনে বাংলাদেশ সর্বশেষ স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি কিনেছিল। তখন প্রতি এমএমবিটিউ গ্যাসের দাম ছিল ২৪ দশমিক ২৫ মার্কিন ডলার।
রয়টার্স জানায়, গতকাল মঙ্গলবার ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে টোটাল এনার্জিকে এলএনজি সরবরাহের অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকের কার্যবিবরণী অনুযায়ী, এলএনজি কার্গো জাহাজটি ৩৩ হাজার ৬০০ এমএমবিটিইউ এলএনজি নিয়ে আসবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়, পেট্রোবাংলা নিয়মিত স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি কিনবে।
গত বছরের আগস্টে প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির দাম সর্বোচ্চ ৭০ দশমিক ৫০ ডলারে উঠেছিল। এ বছরের শুরু থেকে ইউরোপ ও উত্তর এশিয়ায় গ্যাসের চাহিদা কমে যাওয়ায় এলএনজির দাম এখন পড়তির দিকে।
স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি কিনতে বাংলাদেশ সরকার গত মাসে শিল্প, বিদ্যুৎ ও বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে গ্যাসের দাম ১৪.৫ শতাংশ থেকে ১৭৮.৯ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়েছে।
পেট্রোবাংলার ওই কর্মকর্তা বলেন, শিল্প, বিদ্যুৎ ও বাণিজ্যিক গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন গ্যাসের সরবরাহকে আমরা অগ্রাধিকার দিচ্ছি।
গত ১৮ জানুয়ারি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেছিলেন, এলএনজির দাম এই পর্যায়ে থাকলে সরকার স্পট মার্কেট থেকে আমদানি অব্যাহত রাখবে।
Comments