গ্রামে এখন লোডশেডিং কমে গেছে: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

‘উৎপাদনে সর্বোচ্চ রেকর্ড, আবার সর্বোচ্চ চাহিদাও আছে। গত ৫০ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল। সেই তাপমাত্রার জন্য আমরা কেউ প্রস্তুত ছিলাম না।’
গ্রামে এখন লোডশেডিং কমে গেছে: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

তেল ও অর্থের সংকটে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে লোডশেডিং করতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

তিনি আরও বলেন, এখন সার্বিকভাবে আমাদের পরিস্থিতি আগের থেকে ভালো।

আজ সোমবার সচিবালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।

নসরুল হামিদ বলেন, 'সারা বাংলাদেশে কিছু কিছু অঞ্চলে আমাদের লোডশেডিং করতে হচ্ছে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের অনেক জায়গায়। গত এক মাস যাবত এটা আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। আমাদের বেশ কিছু পাওয়ার প্ল্যান্ট, বিশেষ করে অয়েলবেজড পাওয়ার প্ল্যান্টগুলো বন্ধ আছে। সেগুলো আমরা ধীরে ধীরে চালু করছি।'

বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ থাকার কারণ জানিয়ে তিনি বলেন, 'তেলের স্বল্পতা ছিল, আর্থিক স্বল্পতা ছিল। এই বিষয়গুলোকে নজরদারি করে এখন একটি ভালো পরিস্থিতি এসেছে। এই বিষয়গুলো সংসদে আলোচনা হয়েছে। যারা সংসদ সদস্য এবং প্রধানমন্ত্রীও জানেন।'

তিনি বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে গ্রামাঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ যত দ্রুত পারা যায় ব্যবস্থা করতে। আমরা সেটাই ব্যবস্থা করে এখন একটি ভালো অবস্থায় এসেছি।'

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'আমার মনে হয়, কোথাও লোডশেডিং করে আরেক জায়গায় দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে না। আমি মনে করি, আগের থেকে ভালো অবস্থায় আমরা এখন আছি।'

গণমাধ্যমকর্মীরা বলেন, গ্রামে প্রচুর লোডশেডিং হচ্ছে—এর জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, 'এখন কমে গেছে। আমি তো প্রতিদিন নিউজ পাচ্ছি! আজকে যদি দেখেন, জিরো লোডশেডিং। আস্তে আস্তে ধীরে ধীরে কমে আসছে। আমাদের পাওয়ার প্ল্যান্টগুলো আসছে (সক্রিয় হচ্ছে)। আমাদের বেশ কিছু পাওয়ার প্ল্যান্ট বন্ধ ছিল।

'যাদের তেল আনার কথা, যেসব প্রাইভেট পাওয়ার প্ল্যান্ট মালিক—তারা তো আনতে পারছিলেন না। তারা দেরি করছিলেন, যার কারণে প্রথম দিকে প্রায় দেড় হাজার মেগাওয়ার্টের মতো (লোডশেডিং) ছিল। এটা কমে ৫০০, এখন জিরোরে দিকে চলে আসছে। আশা করছি, ভবিষ্যতে এটা ভালোর দিকে যাবে,' যোগ করেন তিনি।

তেলের সমস্যা কেটেছে কি না জানতে চাইলে তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, 'আমরা চেষ্টা করছি আমাদের নিজেদের কাছ থেকে তেল দেওয়ার, বিপিসি (বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন) থেকে তেল দেওয়ার। এখন সেটাই ব্যবস্থা চলছে।'

অর্থ মন্ত্রণালয় কিছু টাকা ছাড়া করেছে, সেটা পাওয়া শুরু হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আমরা পাচ্ছি। আমরা কিছু কিছু করে পাচ্ছি। সেটা দিয়েই আমরা ম্যানেজ করার চেষ্টা করছি।'

আপনারা বলছেন উৎপাদনে সর্বোচ্চ রেকর্ড, পাশাপাশি মানুষ দেখছে লোডশেডিং—এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে নসরুল হামিদ বলেন, 'কারণ উৎপাদনে সর্বোচ্চ রেকর্ড, আবার সর্বোচ্চ চাহিদাও আছে। গত ৫০ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল। সেই তাপমাত্রার জন্য আমরা কেউ প্রস্তুত ছিলাম না।

'আমরা যতটুকু প্রস্তুত ছিলাম, সে অনুযায়ী আমরা গিয়েছি। তার উপরে যাওয়ার জন্য আমাদের চেষ্টা ছিল, আমরা করতে পারতাম, কারণ আমাদের হাতে পাওয়ার প্ল্যান্ট ছিল। মুশকিলটা হলো অর্থের সংস্থান এবং আমাদের তেলের সংস্থান এই দুটির সমন্বয় করতে হবে। সেটা করতে আমাদের যে সময়টুকু লেগেছে, সেই সময়ে গ্রামাঞ্চলের অনেক জায়গায় আমাদের লোডশেডিং করতে হয়েছে। সার্বিকভাবে আমাদের পরিস্থিতি আগের থেকে ভালো,' বলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

DMCH doctors threaten strike after assault on colleague

A doctor at Dhaka Medical College Hospital (DMCH) was allegedly assaulted yesterday after the death of a private university student there, with some of his peers accusing the physicians of neglecting their duty in his treatment

5h ago