পঞ্চগড়ে আবারও পিটিয়ে চিতাবাঘ হত্যা

এ ঘটনায় এখনও কোনো মামলা হয়নি।
চিতাবাঘ
ছবি: সংগৃহীত

পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার দারখোর গ্রামে একটি চিতাবাঘকে পিটিয়ে হত্যা করেছে গ্রামবাসী।

আজ শুক্রবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা ও পুলিশ জানায়, সকাল ৮টার দিকে দারখোর গ্রামবাসী নদীর পাড়ে চিতাবাঘটিকে দেখতে পায়। এরপর শত শত গ্রামবাসী একজোট হয়ে চিতাবাঘটিকে ঘিরে ফেলে এবং পিটিয়ে হত্যা করে। পরে চিতাবাঘটিকে একটি বাড়ির সামনে রেখে দেওয়া হয়।  

পঞ্চগড় বন বিভাগের ফরেস্টার মধুসূদন বর্মণ জানান, বন কর্মকর্তারা ময়নাতদন্তের জন্য চিতাবাঘটিকে স্থানীয় পশু হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।

এ ঘটনায় এখনও কোনো মামলা হয়নি।

পঞ্চগড়ের বন্যপ্রাণী আলোকচিত্রী ফিরোজ আল সাবাহ বলেন, ভারত থেকে খাবারের খোঁজে প্রায়ই বাংলাদেশের পঞ্চগড় সীমান্ত ভূখণ্ডে আসে চিতাবাঘ। এ ধরনের বন্যপ্রাণীদের জন্য এলাকাটি নিরাপদ রুট হয়ে উঠেছে বলেও জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, 'মৃত চিতাবাঘটি স্থানীয় প্রজাতি নয়। এটি দৈর্ঘ্যে ৫২ ইঞ্চি এবং উচ্চতায় ৩০ ইঞ্চি।'

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) রাজশাহী কার্যালয়ের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী তন্ময় সান্যাল জানান, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড়ে ২০০৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ৫টি চিতাবাঘকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ২০২০ সাল থেকে নীলফামারীতে অন্তত ৩টি চিতাবাঘকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

'বন্যপ্রাণী রক্ষায় বিদ্যমান আইনের প্রয়োগ না থাকায় বন্যপ্রাণীর এমন নৃশংস ও অমানবিক হত্যাকাণ্ড অব্যাহত রয়েছে', বলেন তিনি।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) পঞ্চগড় আঞ্চলিক শাখার সাধারণ সম্পাদক আজহারুল ইসলাম জুয়েল বলেন, 'চিতাবাঘকে দেখামাত্র মেরে ফেলার প্রবণতা থেকে এ এলাকার মানুষ বেরিয়ে আসতে হবে।'

তিনি বন্যপ্রাণী হত্যার জন্য অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।

Comments