‘মানুষের সংবেদনশীলতার অভাবে সেন্টমার্টিন দ্বীপ আজ বিপন্ন’
মানুষের ক্রমাগত সংবেদনশীলতার অভাবে সেন্টমার্টিন দ্বীপ আজ বিপন্ন বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফারহিনা আহমেদ।
তিনি বলেন, ব্যাপক পর্যটকের ভারে আজ দ্বীপটি ন্যুজ্ব হয়ে পড়েছে। আর ভার সইতে পারছে না।
শনিবার দুপুরে কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায় প্রধান অথিতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সচিব।
ফারহিনা আহমেদ বলেন, দেশের প্রধানতম পর্যটন শহর কক্সবাজারের বেহাল অবস্থা দেখে সত্যিই আমি হতবাক হয়েছি। এভাবে উন্নয়ন হয় না, হতে দেওয়া যায় না। পরিকল্পিত উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই।
পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে এবং কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও ইউএনডিপির সহযোগিতায় 'সেন্টমার্টিন দ্বীপের পরিবেশ, প্রতিবেশ, জীববৈচিত্র্য সুরক্ষা ও পরিবেশবান্ধব পর্যটন উন্নয়নে অংশীজনদের সমন্বয়ে পরামর্শ' বিষয়ক কর্মশালাটির আয়োজন করা হয় স্থানীয় একটি হোটেলে।
জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) আবদুল হামিদ। বক্তব্য দেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম।
এছাড়া ইউএনডিপির কান্ট্রি ইকোনমিস্ট নাজনীন আহমেদ ও ইউএনডিপির প্রকল্প ব্যবস্থাপক মাহতাবুল হাকিমও বক্তব্য রাখেন। কর্মশালায় ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক সৈয়দা মাসুমা খানম।
পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবদুল হামিদ বলেন, সেন্টমার্টিন আমাদের স্বর্গে রদ্বীপ। এ দ্বীপকে রক্ষা করতে হলে দ্বীপে বসবাসকারী জনগোষ্ঠীকে দ্বীপটির প্রতি সচেতন এবং সংবেদনশীল হতে হবে। অন্যথায় এ অনন্য প্রাকৃতিক স্থাপনা রক্ষা করা সম্ভব হবে না। দ্বীপটির নিয়ন্ত্রক হবেন স্থানীয়রা।
ইউএনডিপির ইকোনমিস্ট নাজনীন আহমেদ বলেন, এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে গত ১৪ বছরে দ্বীপটির জনসংখ্যা বেড়েছে সাড়ে তিনশ শতাংশ। পর্যটক আগমনের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় দেড়শ শতাংশ। পর্যটন মওসুমে দ্বীপটিতে প্রতিদিন সর্বোচ্চ সাড়ে ৯ হাজার পর্যটক ভ্রমণ করেন।
মুক্ত আলোচনায় সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, স্থানীয় ব্যবসায়ী, রাজনীতিক, সমাজকর্মী, গণমাধ্যম কর্মী, পর্যটন খাত উদ্যোক্তা, এনজিও কর্মী ও পরিবেশকর্মীসহ অংশীজনেরা অংশ নেন।
Comments