নির্দেশ অমান্য করে কৃষিজমিতে আবারও ইটভাটা

স্থানীয় প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্দেশ উপেক্ষা করে কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার তবকপুর ইউনিয়নের হামির বাজার গ্রামে কৃষিজমিতে তৈরি হচ্ছে ইটভাটা।
কৃষিজমিতে ইটভাটা
স্থানীয় প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্দেশ উপেক্ষা করে কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার তবকপুর ইউনিয়নের হামির বাজার গ্রামে কৃষিজমিতে আবারও তৈরি হচ্ছে ইটভাটা। ছবি: এস দিলীপ রায়/স্টার

স্থানীয় প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্দেশ উপেক্ষা করে কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার তবকপুর ইউনিয়নের হামির বাজার গ্রামে কৃষিজমিতে তৈরি হচ্ছে ইটভাটা।

প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়ায় ইটভাটাটির মালিক আবারও ইটভাটাটির নির্মাণকাজ শুরু করেছেন বলে স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ।

কৃষকেরা দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, তবকপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাহমুদার রহমান বকুল গত আগস্টে কৃষিজমিতে ইটভাটা তৈরি শুরু করেন। কৃষকদের বাধা উপেক্ষা করেন তিনি। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসন, কৃষি বিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তরকে লিখিত অভিযোগ জানান কৃষকরা।

গত ২৫ অক্টোবর উলিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শোভন রাংশার নেতৃত্বে পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালত ঘটনাস্থলে গিয়ে ইটভাটার নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেন। নির্মিত অবকাঠামো সরিয়ে ফেলার নির্দেশও দেন আদালত।

কৃষিজমিতে ইটভাটা
কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার তবকপুর ইউনিয়নের হামির বাজার গ্রামে কৃষিজমিতে ইটভাটার অবকাঠামো সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ উপেক্ষা করেছেন এর মালিক। ছবি: এস দিলীপ রায়/স্টার

নির্মিত অবকাঠামো না সরিয়ে উল্টো গত ২৫ নভেম্বর থেকে আবারও ইটভাটাটির নির্মাণকাজ শুরু করেন এর মালিক।

কৃষক মজিবুর রহমান (৬৬) ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কৃষি জমিতে ইটভাটা করলে আমরা জমিতে ফসল ফলাতে পারব না। এখানে বছরে ৩ বার ফসল ফলাই। আবারও ইটভাটাটির কাজ শুরু হওয়ায় আমরা হতাশ।'

কৃষি জমিতে নির্মাণাধীন ইটভাটাটির মালিক মাহমুদার রহমান বকুলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো কথা বলবেন না বলে ডেইলি স্টারকে জানান।

উলিপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কৃষিজমিতে ইটভাটা নির্মাণের বিরোধিতা করে উপজেলা প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছি।'

কুড়িগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক রেজাউল করিম ডেইলি স্টারকে বলেন, কৃষিজমিতে ইটভাটার নির্মাণকাজ বন্ধ করা হয়েছিল। আবারও কাজ শুরু করায় গত বৃহস্পতিবার ইটভাটাটির মালিককে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।'

আগামী ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে ইটভাটাটির নির্মিত অবকাঠামো সরিয়ে নেওয়া না হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

উলিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শোভন রাংশা ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গত বৃহস্পতিবার ইটভাটাটির নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। তারপরও কাজ শুরু করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কৃষি জমিতে ইটভাটা নির্মাণ করতে দেওয়া হবে না।'

Comments