মন্ত্রীর এপিএসের বিরুদ্ধে তিস্তা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ

মন্ত্রীর এপিএসের বিরুদ্ধে তিস্তা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ
তিস্তার চর থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করায় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। আর উত্তোলন করা বালু এভাবে স্তূপ করে রেখে বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ আছে। ছবি: এস দিলীপ রায়/স্টার

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা ইউনিয়নে তিস্তাপাড়ে চর গোবর্ধান। গত বছর এই চরে স্থানীয় কৃষকরা সবজিসহ নানা ফসল চাষাবাদ করেছেন। চর থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় গর্তের সৃষ্টির কারণে এবছর কোনো ফসল চাষাবাদ করতে পারছেন না তারা।

চরের কৃষকদের অভিযোগ, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের ব্যক্তিগত সহকারী সচিব (এপিএস) মিজানুর রহমান মিজানের বাড়ি চর গোবর্ধান এলাকায়। তার নেতৃত্বে চর থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে স্তূপ করে রাখা হয়েছে। এখন এসব বালু বিক্রি করা হচ্ছে। মন্ত্রীর এপিএস মিজানের পক্ষে তার ছোট ভাই আদিতমারী অ্যাসিল্যান্ড অফিসের অফিস সহায়ক এরশাদ হোসেন বালু ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ করছেন।

চরবাসি অভিযোগ করে বলেন, তারা হামলা-মামলার ভয়ে প্রকাশ্যে কোনো প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেন না। গত বছর চরে ফসল চাষাবাদ করে আশানুরূপ ফসল পেয়েছিলেন। এবছর এই চরে কোনো ফসল চাষাবাদ করতে পারেননি। অবৈধ বালু ব্যবসা করে একটি চক্র লাভবান হলেও চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন চরের কৃষকরা। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারী ক্ষমতাধর হওয়ায় প্রশাসনও নিচ্ছে না কোনো ব্যবস্থা।

ছবি: এস দিলীপ রায়/স্টার

এ ব্যাপারে মন্ত্রীর এপিএস মিজানুর রহমান মিজানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'চর গোবর্ধানে তিস্তা নদী থেকে বালু উত্তোলনের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। কারা কীভাবে এবং কেন বালু উত্তোলন করেছেন এমন তথ্যও আমার কাছে নেই।'

তবে এপিএস মিজানের ছোট ভাই এরশাদ হোসেনে ডেইলি স্টারকে বলেন, 'তিস্তা নদী থেকে বালু উত্তোলন করা হয়েছে। তবে তা বিক্রির জন্য নয়। বালু উত্তোলন করে স্তূপ করে রাখা হয়েছে। বালুর স্তূপের ওপর তিস্তা নদীর তীর সংরক্ষণের কাজে ব্যবহৃত সিসি ব্লক তৈরি করা হবে।'

মহিষখোঁচা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক হোসেন চৌধুরী ডেইলি স্টারকে বলেন, 'শুনেছি চর গোবর্ধান এলাকায় তিস্তা নদী থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে রাখা হয়েছে। কারা এসব বালু উত্তোলন করেছেন সেটা জানি না। গোবর্ধান এলাকার লোকজনও আমার কাছে কোনো অভিযোগ করেননি।'

আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জি আর সারওয়ার ডেইলি স্টারকে বলেন, গোবর্ধান এলাকায় তিস্তা নদী থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের বিষয়টি আমি জানি না। এ বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।'

   

Comments

The Daily Star  | English

Baitul Mukarram to host five Eid jamaats

Prayer times: 7am, 8am, 9am, 10am, 10:45am

30m ago