তিমির কঙ্কাল প্রদর্শিত হবে কক্সবাজারে
কক্সবাজারে পর্যটক ও গবেষকদের জন্য তিমির কঙ্কাল প্রদর্শনের ব্যবস্থা করছে বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইন্সটিটিউট (বোরি)।
গত ২৩ জানুয়ারি থেকে হিমছড়ি সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন জায়গায় খনন করে দুদিনে তিমির কঙ্কালের ২৫৪ টি হাড় সংগ্রহ করছেন বোরির বিজ্ঞানীরা।
এতে সহায়তা করেছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন এবং বন বিভাগ।
বোরির মহাপরিচালক ড. তৌহিদা রশীদ সাংবাদিকদের জানান, ২০২১ সালের ১০ এপ্রিল কক্সবাজারের হিমছড়ি সংলগ্ন সৈকত এলাকায় অর্ধ-গলিত ব্রাইডস প্রজাতির একটি তিমি ভেসে এসেছিল। তখন তিমিটির ওজন ছিল প্রায় ৯ মেট্রিক টন, দৈর্ঘ্য ৪৬ ফুট ও প্রস্থ ১৬ ফুট। পৃথিবীতে ৭৯ থেকে ৮৪ প্রজাতির তিমি রয়েছে যার মধ্যে ব্রাইডস তিমির প্রজাতি ৩ থেকে ৪ ধরনের। এরা ইন্দো-পেসিফিক সমুদ্র অঞ্চলে বিচরণ করে।
বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বোরি) জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আবু সাঈদ মুহাম্মদ শরীফ বলেন, কঙ্কাল উত্তোলন করে হাড়গুলো বিশেজ্ঞদের মাধ্যমে জোড়া লাগিয়ে পরিপূর্ণ রূপ দেওয়া হবে। পাশাপাশি গবেষণার উদ্দেশ্যে তিমির কঙ্কালটি হিমছড়িতে বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটে সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
মুহাম্মদ শরীফ বলেন, তিমিটির কংকাল উত্তোলনের পর বাংলাদেশে সেগুলো প্রক্রিয়াজাতকরণ, সংরক্ষণ এবং রিএসেম্বলিং করার জন্য জাতীয় জাদুঘর, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ, সরকারের প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা এবং বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি কারিগরি টিম গঠন করা হয়েছে।
জানা গেছে, কঙ্কালটি প্রতিস্থাপন করে গবেষণার জন্য সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটে সবার জন্য উন্মুক্ত করা হবে, যার মাধ্যমে সমুদ্র সম্পর্কে যেমন মানুষ জানতে পারবে এবং গবেষণার প্রতিও উদ্বুদ্ধ হবে।
Comments