খুলনায় রৌদ্রোজ্জ্বল আকাশ, জনমনে স্বস্তি

খুলনা আবহাওয়া অফিসের জ্যৈষ্ঠ আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ ডেইলি স্টারকে বলেন, খুলনা অঞ্চলে বড় ধরনের কোনো আশঙ্কার কারণ নাই। তবে কালবৈশাখির মতো দমকা হাওয়া বৃষ্টি হতে পারে।
খুলনায় শহীদ শেখ আবু নাসের হাসপাতালের সামনের সংযোগ সড়ক এলাকা থেকে আজ রোববার সকাল ১১টার দিকে তোলা। ছবি: হাবীবুর রহমান/ স্টার

সকাল থেকে খুলনার আকাশ রৌদ্রজ্জ্বল। আকাশে মাঝেমধ্যে মেঘ দেখা গেলেও আবহাওয়া স্বাভাবিক।

আজ রোববার সকাল থেকে খুলনা এবং এর আশেপাশের জেলাগুলোতে আকাশ মোটামুটি পরিষ্কার রয়েছে।

খুলনার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, নদীতে জোয়ারের পানি স্বাভাবিক সময়ের মতো প্রবাহিত হচ্ছে। ভৈরব এবং রূপসার পানি প্রবাহ স্বাভাবিক রয়েছে। তবে শিবসা নদী কিছুটা বিক্ষুব্ধ। কোথাও এখন পর্যন্ত বৃষ্টি বা ঝড়ো হাওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

ঘূর্ণিঝড় মোখার জন্য জারি করা আগাম সতর্কসংকেত মানুষের জীবনযাত্রায় প্রভাব ফেলেনি। তবে প্রথমদিকে ঘূর্ণিঝড়ের খবর শুনে উপকূলে অঞ্চলের মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। বিশেষ করে খুলনা জেলার পাইকগাছা দাকোপ কয়রা উপজেলার বেড়িবাঁধ অধ্যুষিত এলাকার মানুষ খুবই উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় কাটিয়েছেন।

খুলনার পাইকগাছার গড়াইখালি গ্রামের বাসিন্দা শান্ত মন্ডল ডেইলি স্টারকে বলেন, আমার গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে শিবসা নদী। শিবসা নদীর ভাঙনে আমাদের ওয়াপদা রাস্তা প্রায় বিলিন হতে চলেছে। যেকোনো জলোচ্ছ্বাসে একেবারে ভেঙে যাবে এ রাস্তা। তাই ঝড়ের কথা শুনে আমরা ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।

খুলনা আবহাওয়া অফিসের জ্যৈষ্ঠ আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ ডেইলি স্টারকে বলেন, খুলনা অঞ্চলে বড় ধরনের কোনো আশঙ্কার কারণ নাই। তবে কালবৈশাখির মতো দমকা হাওয়া বৃষ্টি হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, সুন্দরবনসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার বা এর বেশি হতে পারে। হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিও হতে পারে। নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ থেকে ৭ ফুট উঁচু জোয়ার হওয়ার আশঙ্কা আছে। মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

Comments