ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমে পরিণত হয়েছে গভীর নিম্নচাপ, সাগরে ২ নম্বর সংকেত
দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও এর আশে পাশের এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও ঘণীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। ঝড়টির নাম দেওয়া হয়েছে মিগজাউম।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ রোববার সকাল ৬টায় ঝড়টি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৫৭৫ কিলোমিটার, কক্সবাজার থেকে এক হাজার ৫২৫ কিলোমিটার, মোংলা থেকে এক হাজার ৪৫০ কিলোমিটার ও পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৪৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
অধিদপ্তর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (ক্রমিক নম্বর ১০) জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিরোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
সাগর উত্তাল থাকায় উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ঝড়টি বাংলাদেশের দিকে আসার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। এটি স্থলভাগের ওঠার পরে ৬-৭ ডিসেম্বর মূলত আমাদের উপকূলীয় এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টিপাত হবে।'
তিনি আরও বলেন, 'মিগজাউমের প্রভাব কেটে গেলে পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, রংপুর, রাজশাহী, যশোর, শ্রীমঙ্গলের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমতে শুরু করবে এবং ১৪ থেকে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ভেতরে চলে আসতে পারে।'
আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ঝড়টি উত্তর তামিলনাড়ু ও দক্ষিণ অন্ধ্র প্রদেশের দিকে যাচ্ছে। বাংলাদেশের দিকে আসার সম্ভাবনা খুবই কম। ঝড়ের কারণে কিছু মেঘ ভেসে এসে ৬-৭ ডিসেম্বর হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি হতে পারে। তবে রাজশাহী, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগে বৃষ্টিপাত তুলনামূলক কম হবে।'
তিনি আরও বলেন, 'ঢাকার আকাশ আজই মেঘলা রয়েছে, কারণ ঝড়ের মেঘ ভেসে আসছে। আগামী কয়েক দিন আবহাওয়া এ রকম শুষ্ক থাকবে। দিনের তাপমাত্রা কম থাকলেও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।'
Comments