ঢাকায় তাপমাত্রা কমেছে ৬ ডিগ্রি, শীত আরও বাড়তে পারে

আরও কয়েক জেলায় শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা
ঢাকায় তাপমাত্রা কমেছে ৬ ডিগ্রি, শীত আরও বাড়তে পারে
স্টার ফাইল ফটো | ছবি: রাশেদ সুমন/স্টার

ঘন কুয়াশার কারণে দেশের বিভিন্ন এলাকায় রোদের দেখা মিলছে না। আজ শনিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত রাজধানী ঢাকায় সূর্য উঁকি দেয়নি।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত কয়েক দিন ধরে কুয়াশার কারণে সারা দেশে গড় তাপমাত্রা ছয় থেকে আট ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমে গেছে। রাজধানী ঢাকায় কমেছে ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তাপমাত্রা কমে যাওয়ায়, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলা এবং রংপুর বিভাগের অধিকাংশ জেলা মৃদু শৈত্যপ্রবাহের আওতায় চলে এসেছে।

এদিন সকালে দিনাজপুরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আট দশমিক আট ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। রাজধানী ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক সাত ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এছাড়া, বদলগাছীতে আট দশমিক নয়, সৈয়দপুরে নয় ডিগ্রি, তেঁতুলিয়ায় নয় দশমিক তিন, চুয়াডাঙ্গায় নয় দশমিক পাঁচ, রাজশাহীতে নয় দশমিক ছয়, ঈশ্বরদীতে নয় দশমিক সাত ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

গতকাল শুক্রবার দেশের চারটি জেলা—কিশোরগঞ্জ, পাবনা, দিনাজপুর ও চুয়াডাঙ্গায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছিল।

আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আগামী অন্তত দুই দিন আবহাওয়া পরিস্থিতি প্রায় একই রকম থাকবে। বরং আগামীকাল আরও কয়েকটি জেলা শৈত্যপ্রবাহের আওতায় চলে আসতে পারে।'

তিনি বলেন, 'আগামী দুই দিন মধ্যরাতে থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারী থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।

'কুয়াশার কারণে অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন এবং বিমান ও সড়ক পথে যান চলাচল বিঘ্নিত হতে পারে,' যোগ করেন তিনি।

বজলুর রশিদ বলেন, 'দেশের কোথাও কোথাও দিনে ঠান্ডা পরিস্থিতি বিরাজ করতে পারে।'

আগামী ১৮ ও ১৯ জানুয়ারি বৃষ্টি সম্ভাবনা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, 'বৃষ্টি হলে কুয়াশা কেটে যাবে। সে সময় শীত আরও বাড়তে পারে।'

কমেছে সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও। গতকাল টেকনাফে দেশের সর্বোচ্চ ছিল তাপমাত্রা ২৬ দশমিক চার ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মূলত আরব সাগর, দিল্লি হয়ে আদ্রতা আমাদের দিকে আসে। এটি ঘন হয়ে ওয়াটার ড্রপের আকার নিলে দৃষ্টিসীমা কমে আসে, সূর্যের আলো বাধাপ্রাপ্ত হয়, ফলে দিনের তাপমাত্রা বাড়তে পারে না।'

তিনি বলেন, 'এখনও তেমনই হয়েছে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা পার্থক্য কমে এসেছে। যে কারণে ঠান্ডার অনুভূতি তীব্র হয়েছে।'

ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ছত্রিশগড় ও দিল্লিতে ১২ জানুয়ারি থেকে পরবর্তী তিন দিন ঘন থেকে অতি ঘন কুয়াশা থাকতে পারে।

Comments