প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত রিমাল, পায়রা-মোংলা সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত

উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও এর আশেপাশের এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় রিমাল প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে।

আজ রোববার সকাল ৬টায় ঝড়টি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪০০ কিলোমিটার ও কক্সবাজারকে ৩৬০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৩০ কিলোমিটার ও পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।

আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এটি আরও উত্তর দিকে এগিয়ে আজ সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত নাগাদ মোংলার কাছ দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের সাগর আইল্যান্ড ও খেপুপাড়া উপকূল অতিক্রম করতে পারে।'

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি শুরু হয়েছে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুদ্ধ রয়েছে।

পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী এবং এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

এছাড়া, কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ছয় নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে নয় নম্বর মহাবিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো এই মহাবিপৎসংকেতের আওতায় থাকবে।

খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার নদী বন্দরগুলোকে চার নম্বর নৌ-মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়াবিদরা মনে করছেন, প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে আট থেকে ১২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে দমকা হাওয়াসহ ভারী (প্রতি ঘণ্টায় ৪৪-৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতি ভারী (প্রতি ঘণ্টায় ২৮৯ মিলিমিটার) বর্ষণ হতে পারে।

অতি ভারী বর্ষণের প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Fakhrul urges EC to work swiftly for fair, acceptable election

Prof Yunus deserves thanks for instructions over polls preparations

1h ago