বাগেরহাটে প্রস্তুত ৩৫৯ আশ্রয়কেন্দ্র, মোংলা বন্দরে অ্যালার্ট জারি

ছবি: পার্থ চক্রবর্তী/স্টার

উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় 'রিমাল'। ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবিলায় প্রস্ততি নিয়েছে জেলা, উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসন, সিভিল সার্জন, পানি উন্নয়ন বোর্ড, ফায়ার সার্ভিস, মোংলা বন্দর, সুন্দরবন বিভাগ, নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড।

গতকাল রাতে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় ভার্চুয়ালি এক জরুরি প্রস্তুতি সভা করেছে বাগেরহাট জেলা প্রশাসন।

সভায় বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মো. খালিদ হোসেন জানান, বাগেরহাটে ৩৫৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়াও প্রস্তুত আছে ৩ হাজার ৫০৫ স্বেচ্ছাসেবক ও ৮৮ মেডিকেল টিম।

সেইসঙ্গে প্রস্তুত রাখা হয়েছে নগদ সাড়ে ৫ লাখ টাকা, ৬৪৩ মেট্রিক টন চাল, পানি এবং মোবাইল টয়লেট।

গতকাল সভায় বন বিভাগের সব কর্মকর্তা ও বনরক্ষীর ছুটি বাতিল করে দেশি-বিদেশি পর্যটকসহ মৌয়াল ও জেলেদের সুন্দরবন থেকে লোকালয়ে ফিরে আসতে বলা হয়েছে।

এদিকে পূর্ণিমা থাকায় জেলার সব নদ-নদীতে বেড়েছে পানির উচ্চতা। জেলার নদীতীরবর্তী মানুষসহ সব শ্রেণি-পেশার লোকজনের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় আতঙ্ক বিরাজ করছে।

ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় জরুরি সভা করেছে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ। সভায় নিজস্ব 'অ্যালার্ট-৩' জারি করে সব বাণিজ্যিক জাহাজকে বন্দর চ্যানেলের হাড়বাড়িয়ায় নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বন্দর কর্তৃপক্ষের নিজস্ব ৩৩টি জাহাজসহ সব লাইটার জাহাজ বন্দর চ্যানেল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সহকারী জনসংযোগ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম (মনির) এসব তথ্য জানান।

তিনি আরও বলেন, নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের জাহাজ নিরাপদ স্থানে রাখতে মোংলা বন্দর জেটি খালি করে দেওয়া হয়েছে। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ একটি কন্ট্রোলরুম স্থাপন করেছে। সেখান থেকে সকল কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করা হবে। ওই কন্ট্রোল রুমের ফোন নম্বর +৮৮০২-৪৭৭৭৫৩৮৩৫, ০১৪০৪-৪১১৮৫৬ ও ০১৩২৯-৬৯৯০৩৯।

Comments

The Daily Star  | English

22 sectors still pay wages below poverty line

At least 22 sectors in Bangladesh continue to pay their workers much less than what is needed to meet basic human needs.

5h ago