সাগরে ৩ নম্বর সংকেত, সপ্তাহজুড়েই থাকবে বৃষ্টি

‘ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের পাহাড়ি এলাকায় কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে,’
সাগরে ৩ নম্বর সংকেত, সপ্তাহজুড়েই থাকবে বৃষ্টি
চট্টগ্রামের পতেঙ্গার ফাইল ফটো | ছবি: রাজীব রায়হান/স্টার

মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি হচ্ছে। সেই সঙ্গে রয়েছে বায়ুচাপের তারতম্য।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহজুড়েই এ রকম বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। আগামী সপ্তাহের শুরুতে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কিছুটা কমতে পারে।

উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যে কারণে আজ সোমবারও চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

দুর্ঘটনা এড়াতে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পুরো সপ্তাহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। আগামী ৬ জুলাইয়ের পরে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কিছুটা কমতে পারে।'

তিনি আরও বলেন, 'আগামীকাল পর্যন্ত রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, সিলেট, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী (২৪ ঘণ্টায় ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতি ভারী (২৪ ঘণ্টায় ৮৯ মিলিমিটারের বেশি) বর্ষণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

'ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের পাহাড়ি এলাকায় কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে,' যোগ করেন তিনি।

আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম জানিয়েছেন, রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী, বগুড়া, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা হওয়া বয়ে যেতে পারে।

সেই সঙ্গে হতে পারে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি। দুর্ঘটনা এড়াতে এসব এলাকার নৌবন্দরগুলোকে এক নম্বর সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Yunus's 'Reset Button' call was not about erasing Bangladesh's proud history: CA office

He meant resetting the software, not the hardware created by 1971 Liberation War, statement says

1h ago