সাগরে ৩ নম্বর সংকেত

৪ বিভাগে অতি ভারী বৃষ্টি, পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের শঙ্কা

ধারণা করা হচ্ছে, আগামী শনিবারের পরে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমে আসবে।
৪ বিভাগে অতি ভারী বৃষ্টি, পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের শঙ্কা
স্টার ফাইল ফটো | ছবি: প্রবীর দাশ/স্টার

দেশের উপকূলীয় এলাকায় গত রাত থেকেই ঝরছে বৃষ্টি।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টা পর্যন্ত গত ১৫ ঘণ্টায় টেকনাফে ১১২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এছাড়া উপকূলীয় প্রায় সব এলাকায় বৃষ্টি হচ্ছে।

আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, মূলত ভিয়েতনামের উত্তরাঞ্চলে আঘাত হানা টাইফুন ইয়াগির প্রভাবে এই বৃষ্টি।

এর সঙ্গে যোগ হয়েছে সক্রিয় মৌসুমি বায়ু। আজ বৃহস্পতিবার সকালে অধিদপ্তর আরও জানায়, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় আজ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টির সম্ভাবনার আছে। সেই সঙ্গে বয়ে যেতে পারে দমকা হাওয়া।

এদিকে স্থলভাগে উঠে আসা নিম্নচাপটি আরও ঘনীভূত হয়েছে এবং মৌসুমি বায়ুকে আরও বেশি সক্রিয় করেছে।

অধিদপ্তর জানিয়েছে, মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী (২৪ ঘণ্টায় ৪৪-৮৮ মিলিমিটার) থেকে অতি ভারী (২৪ ঘণ্টায় ৮৯ মিলিমিটারের বেশি) বর্ষণ হতে পারে।

ভারী বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রাম বিভাগের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে।

সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি হচ্ছে। এর প্রভাবে দেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

দুর্ঘটনা এড়াতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

সিনপটিক অবস্থা অনুসারে, মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উড়িষ্যা, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ধারণা করা হচ্ছে, আগামী শনিবারের পরে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমে আসবে।'

বৃষ্টি হলেও কমছে না গরম। গতকাল রংপুরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

রংপুর বিভাগের প্রায় সব জেলায় তাপমাত্রা তুলনামূলক বেশি। তরিফুল নেওয়াজ কবির বলেন, 'সাগরে সার্কুলারেশন থাকায় রংপুর বিভাগ বা দেশের উত্তরাঞ্চলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমে গেছে। যে কারণে এই জেলাগুলো শুষ্ক হয়ে গেছে।'

এছাড়া, সারা দেশেই বেড়েছে গরমের তীব্রতা। 'বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকায় ভ্যাপসা গরমের অনুভূতি হচ্ছে,' বলেন কবির।

এদিন সকাল ৬টায় ঢাকায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৯৩ শতাংশ।

পূর্বাভাস আরও বলছে, বাংলাদেশের উপকূল ও উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Yunus’ economic gambit paying off

Two months ago, as Professor Muhammad Yunus waded into Bangladesh’s unprecedented political turmoil, he inherited economic chaos by default.

5h ago