কুয়াশা ভেদ করে দেখা মিলল সূর্যের, শীতার্তদের স্বস্তি

কুয়াশা ভেদ করে সূর্যের আলোয় ঠান্ডা কমে যাওয়ায় স্বাভাবিক জীবনে ফিরছেন লোকজন। ছবি: এস দিলীপ রায়

ঘন কুয়াশায় গত কয়েকদিন সূর্যের দেখা মেলেনি। এর সঙ্গে হিমেল বাতাস শীতের তীব্রতা আরও বাড়িয়ে তুলছিল। জুবুথুবু হয়ে ছিলেন শীতার্তরা। স্থবির হয়ে যায় জনজীবন। তবে শনিবার সকালটা স্বস্তি নিয়ে এসেছে। সকাল ৮টার পর সূর্যের আলোয় চাঙ্গা হয়ে উঠেছে জনজীবন।

রংপুর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শনিবার সকাল ৯টায় লালমনিরহাটে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর কুড়িগ্রামে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। সূর্যের আলো থাকায় এখন ঠান্ডা কম অনুভূত হচ্ছে।

লালমনিরহাট সদর উপজেলার চর খারুয়া এলাকার কৃষক নায়েব আলী (৫৫) গত কয়েকদিন মাঠে কাজে যেতে পারেননি। তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, আজ সকাল ৮টার পর কুয়াশা কেটে যায়। সূর্যের আলো থাকায় ফসলের খেতে কাজে গিয়েছিলেন। খেতে কাজ করার শ্রমিকও পাওয়া যাচ্ছিল না। সূর্যের আলো তাদের জন্য আর্শীবাদ।

একই গ্রামের দিনমজুর মকবুল হোসেন (৫৫) জানান, ঠান্ডার কারনে গেল কয়েকদিন কাজে যেতে পারেননি। রোদ ওঠায় তেমন ঠান্ডা লাগছে না। সকাল সকাল মাঠে কাজে গিয়েছিলেন। কয়েকদিনে ঠান্ডায় শরীর স্থবির হয়ে পড়েছিল। আজ সকাল থেকে খুব স্বস্তিবোধ হচ্ছে।

লালমনিরহাট শহরের কলেজ রোডের রিকশাচালক খাইরুল ইসলাম (৪৫) দ্য ডেইলি স্টরকে বলেন, সূযের আলো থাকায় শহরে মানুষজন দেখা যাচ্ছে। রিকশার যাত্রীও পাওয়া যাচ্ছে। গেল কয়েকদিনে আয় কমে গিয়েছিল।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আব্দুল্ল্যা আল মামুন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ঠান্ডায় কৃষকরা কয়েকদিন ফসলের খেতে ঠিকমতো কাজ করতে পারেননি। এ সময়ের ফসলের জন্য সূর্যের আলোর খুব প্রয়োজন।

Comments

The Daily Star  | English

Macroeconomic challenges to persist in Jul-Dec: BB

BB highlights inflation, NPLs, and tariff shocks as key concerns

3h ago