‘রাজধানীর তাপ শুষে নিতে গাছপালা ও জলাশয় বেশি থাকা দরকার। তা না হলে তাপ বাড়তেই থাকবে।’
ঢাকার বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে।
দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পাশাপাশি উত্তরাঞ্চলের প্রধান নদ-নদীতে পানি বাড়তে শুরু করেছে। গত তিন দিনে গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র নদে ৮৭ সেন্টিমিটার ও বগুড়ায় যমুনা নদীতে ৮৩ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে।
গত এপ্রিল মাসে দেশে গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল মাত্র এক মিলিমিটার। ১৯৮১ সালের পর দেশে এটাই সর্বনিম্ন বৃষ্টিপাতের রেকর্ড।
আগামী ৪৮ ঘণ্টায় সিলেট, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জসহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে প্রাক-বর্ষার পানি প্রবাহ অতিক্রম করতে পারে।
আজ দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দেশজুড়ে যখন তাবদাহ, তখন গত শুক্রবার থেকে সিলেটে মাঝে মাঝেই নামছে প্রশান্তির বৃষ্টি। বিগত কয়েকদিনে বিভাগের বিভিন্ন এলাকায় কালবৈশাখীও হয়েছে।
বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা
‘আমরা দুর্যোগ মাপি কেবল মানুষের মৃত্যু দিয়ে। মানুষ মারা গেলে তার সঙ্গে দুর্যোগের সম্পর্ক দেখি। সেটা ঠিক না। মানুষ না মরলেও অনেক বড় দুর্যোগ হতে পারে।'
‘আমরা খুবই অমানবিক জীবনযাপন করি। মাঝেমধ্যে নিজেকে যন্ত্র ছাড়া কিছুই মনে হয় না।’
গতরাতে জেলার বিভিন্ন এলাকায় অবশ্য গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টিপাত হয়েছে।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, চলতি মাসের শেষ পর্যন্ত তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে।
‘তার মৃত্যু হিট স্ট্রোকে হয়েছে নাকি অন্য কারণে, সেটা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।’
‘তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ সর্বোচ্চ ছয় দিন স্থায়ী হয়।’
জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়তে পারে বলেও সতর্কবার্তায় উল্লেখ করা হয়।
আগের দিনের বাতাস মাঝারি থাকলেও এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স অনুযায়ী আজকের বাতাসকে 'অস্বাস্থ্যকর' শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে।
কোনো উপসর্গ দেখা দিলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে টেলিমেডিসিন সেবা গ্রহণের জন্য ১৬২৬৩ নম্বরে ফোন করতে অনুরোধ জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
‘চলমান অতি তীব্র তাপদাহ কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে। আগামী কয়েকদিন বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই।’