নভেম্বরে কমতে পারে ডেঙ্গুর প্রকোপ: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

আগামী মাসের শুরুতে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমতে পারে এমন ধারণা করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

আগামী মাসের শুরুতে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমতে পারে এমন ধারণা করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিস ট্রান্সমিটেড ডিজিজেস (এটিডিএস) নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক নাজমুল ইসলাম এ কথা বলেন।

গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে নাজমুল ইসলাম বলেন, আমরা বিশ্বাস করি মশকের প্রজনন ক্ষেত্র যেগুলো আছে; বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় যার যার করণীয় সবাই যদি যথাযথভাবে পালন করেন এবং নাগরিকরা যদি নিজেদের দায়িত্বটুকু পালন করি তাহলে অবশ্যই এটি সহনীয় অবস্থায় থাকবে। কোনোভাবেই ২০১৯-এ চলে যাওয়ার কারণ দেখি না।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ মাসের শেষ থেকে আগামী মাসের শুরুতে কমে আসবে বলে আমাদের প্রত্যাশা। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, আঙ্গিনা পরিষ্কার এবং বৃষ্টিপাত যেগুলো মশার প্রজননে সহায়ক ভূমিকা পালন করে—সেগুলো যদি না থাকে তাহলে কমে আসবে।

তিনি আরও বলেন, ডেঙ্গু বাড়ার পেছনে অনেকগুলো কারণ কাজ করেছে। এ বছর বর্ষা এসেছে দেরিতে। থেমে থেমে বৃষ্টিপাত হয়েছে, মুষলধারে বৃষ্টি হয়নি, তারপর নিম্নচাপের কারণে বারবার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এই বিষয়গুলো এখনে কিন্তু খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। আমরা মনে করি, এই জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত এককভাবে তো কেউ মোকাবিলা করতে পারবে না-দেশের সবাইকে মিলেই মোকাবিলা করতে হবে। সচেতনতার যে জায়গাটি আছে, খোলা জায়গায় যেখানে পাত্র পড়ে আছে, পানি জমছে আমরা ফেলে দিচ্ছি। শহরকে পরিষ্কার রাখার ব্যাপারে নাগরিক হিসেবে আমাদের প্রত্যেকের দায় আছে। সেই জায়গা থেকেও যদি আমরা সচেতন হই তাহলে অবশ্যই মশার প্রজনন ক্ষেত্রগুলো কমে আসবে, বিস্তারও কমে যাবে।

Comments