নারায়ণগঞ্জে ১ হাজার ৬৩৫ যক্ষ্মা রোগী চিকিৎসাধীন: সিভিল সার্জন

গত নভেম্বর মাসের হিসাব অনুযায়ী নারায়ণগঞ্জ জেলায় ১ হাজার ৬৩৫ জন যক্ষ্মা রোগী চিকিৎসাধীন বলে জানিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. মুশিউর রহমান।
জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ সমিতির (নাটাব) আয়োজিত মতবিনিময় সভা। ছবি: সংগৃহীত

গত নভেম্বর মাসের হিসাব অনুযায়ী নারায়ণগঞ্জ জেলায় ১ হাজার ৬৩৫ জন যক্ষ্মা রোগী চিকিৎসাধীন বলে জানিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. মুশিউর রহমান।

আক্রান্ত রোগীদের সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়া হয় বলেও জানান তিনি।

আজ সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ শহরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ সমিতির (নাটাব) আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সিভিল সার্জন এ তথ্য জানান।

সিভিল সার্জনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলায় ৬৩৮ জন, বন্দরে ১২২ জন, সোনারগাঁয়ে ২৩৪ জন, আড়াইহাজারে ১৮৩ জন, রূপগঞ্জে ২৯৪ জন যক্ষ্মা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে ৩১ জন যক্ষ্মার তৃতীয় পর্যায়ে।

নাটাবের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহনেওয়াজের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের এরিয়া সুপারভাইজার মাসুমা আক্তার, ফিল্ড অর্গানাইজার শাহ্ আলম, নাটাবের আজীবন সদস্য বিল্লাল হোসেন রবিন।

যক্ষ্মা রোগী সাধারণ ৩ ধরনের হয়ে থাকে বলে সভায় জানান ডা. মুশিউর রহমান।

তিনি বলেন, 'কারো ফুসফুসে সরাসরি জীবাণু পাওয়া যায়, কারও আবার জীবাণু শনাক্ত হয় না। কিন্তু তার যক্ষ্মা রোগের সব ধরনের উপসর্গ থাকে। কেউ কেউ আক্রান্ত হওয়ার পর ওষুধ প্রতিরোধী পরিস্থিতিতে চলে যান, যাকে মেডিকেল টার্ম অনুযায়ী এমডিআর বলা হয়।'

যক্ষ্মা রোগীর চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদী উল্লেখ করে সিভিল সার্জন বলেন, 'দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা পদ্ধতি হওয়ায় আমরা রোগীদের ডিওটি বা ডটস ও টিপিটির মাধ্যমে চিকিৎসা দিয়ে থাকি। ডটস হচ্ছে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণের একটি স্বল্পকালীন চিকিৎসা কৌশল, যার মাধ্যমে রোগী প্রতিদিন ডাক্তার বা স্বাস্থ্যকর্মীদের উপস্থিতিতে ওষুধ সেবন করে থাকে। ডটসের মাধ্যমে রোগীর সঠিক চিকিৎসা ও পর্যবেক্ষণ করা হয়।'

তিনি আরও বলেন, 'এ ছাড়া যক্ষ্মা রোগীদের মাধ্যমে অন্য কেউ যাতে আক্রান্ত না হন সেজন্য যক্ষ্মা প্রতিরোধ চিকিৎসা (টিপিটি) দেওয়া হয়। রোগীদের সঙ্গে একই ছাদের নিচে থাকা শিশু ও প্রবীণদেরও আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। যক্ষ্মায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে বেশি থাকেন এইচআইভি পজিটিভ, ডায়াবেটিক ও কিডনিজনিত রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি ও মাদকসেবী। তাদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়া হয় '

মশিউর রহমান বলেন, 'যে রোগীরা নিয়মিত, পরিমিত, ক্রমাগত ও ভুল ওষুধ সেবন করেন তারা এমডিআর যক্ষ্মায় আক্রান্ত হন। এ ধরনের রোগীর চিকিৎসা আরও দীর্ঘমেয়াদী হয়। কারণ এ রোগের স্বাভাবিক ওষুধ তাদের ক্ষেত্রে কাজ করে না। '

নারায়ণগঞ্জে ৩১ জন এমডিআর পর্যায়ের রোগী আছেন বলে জানান তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Floods cause Tk 14,421 crore damage in eastern Bangladesh: CPD study

The study highlighted that the damage represents 1.81 percent of the national budget for fiscal year (FY) 2024-25

1h ago