ডলার সংকটে ভোজ্যতেল-ছোলা-চিনির আমদানি কমেছে

চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজার। ছবি: রাজীব রায়হান/স্টার

ডলার সংকটের কারণে ভোজ্যতেল, ছোলা, মটরশুঁটি ও চিনির মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আন্তর্জাতিক বাজার থেকে আমদানির জন্য এলসি (লেটার অব ক্রেডিট) খুলতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। এতে জুলাই-নভেম্বরে এসব পণ্যের আমদানি ব্যাপক কমেছে।

ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকরা বলছেন, এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে রমজান মাসে সংকট দেখা দিতে পারে। কারণ সেই সময় এসব পণ্যের চাহিদা অন্যান্য সময়ের তুলনায় বেশি থাকে।

ভোজ্যতেল, ছোলা, মটরশুঁটি, খেজুর ও চিনি আমদানি কম হওয়ার পেছনে মূলত ডলার সংকটই দায়ী।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশে ডলার ঘাটতি দেখা দিয়েছে, যার ফলে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। ফলস্বরূপ, আমদানি-নির্ভর বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক মুদ্রার মজুত হ্রাস পেয়েছে। কারণ বাংলাদেশকে এখন বাহ্যিক উত্স থেকে প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে আরও বেশি অর্থ প্রদান করতে হয়। অন্যদিকে, ব্যাংকগুলোর কাছে পর্যাপ্ত ডলার না থাকায় তারাও চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এলসি খুলতে পারছে না।

আমদানির সুবিধার্থে ও ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণের জন্য রমজান মাস শুরু হওয়ার ২ থেকে ৩ মাস আগে ব্যবসায়ীরা সাধারণত এলসি খুলে থাকেন।

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের তথ্যে দেখা গেছে, জুলাই থেকে শুরু হওয়া চলতি অর্থবছরের প্রথম ৫ মাসে ভোজ্যতেল, চিনি, ছোলা, মটরশুঁটি, আদা ও পেঁয়াজ আমদানি ১০ থেকে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে।

আমদানিকারকরা নভেম্বর পর্যন্ত ৫ মাসে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে অপরিশোধিত সয়াবিন ও পরিশোধিত পাম তেলসহ মোট ৯ লাখ ৪৮ হাজার টন ভোজ্যতেল আমদানি করেছেন। ২০২২ অর্থবছরের একই সময়ে এটি ছিল ৬ লাখ ৬৯ হাজার টন।

একই সময়ে ২ লাখ ১৭ হাজার টন ছোলা ও মটরশুঁটি আমদানি করা হয়েছে, যা এর আগের বছর ছিল ৩ লাখ ২৭ হাজার টন।

জুলাই থেকে নভেম্বরের মধ্যে চিনি আমদানি ১ লাখ ৩৯ হাজার টনে দাঁড়িয়েছে, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে আসা ৩ লাখ ১৫ হাজারে টনের চেয়ে অনেক কম।

ডিসেম্বরে যেসব পণ্যের জন্য এলসি খোলা হয়, সেগুলো ফেব্রুয়ারিতে অথবা মার্চের প্রথম সপ্তাহে দেশে আসবে। আর যেসব পণ্যের বিপরীতে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে এলসি খোলা হবে, সেগুলো রমজানের শুরুতেই দেশে আসতে শুরু করবে।

এ বিষয়ে মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের সিনিয়র সহকারী মহাব্যবস্থাপক তসলিম শাহরিয়ার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এলসি খোলা খুব কঠিন হয়ে পড়েছে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি এমন থাকলে রমজানের আগে নিত্যপণ্যের দাম আরও বাড়বে।'

সংক্ষেপিত: ইংরেজিতে পুরো প্রতিবেদনটি পড়তে ক্লিক করুন Imports of key essentials drop for dollar crunch

Comments

The Daily Star  | English

No immediate tax relief despite inflation woes

There will be no tax relief for individuals in low- and middle-income brackets, at least in the next fiscal year, even though high inflation has significantly eroded their purchasing power over the last couple of years.

10h ago