মানিকগঞ্জ

সবজির বাজারে স্বস্তি এলেও, কমছে না পেঁয়াজের ঝাঁঝ

ছবি: জাহাঙ্গীর শাহ/স্টার ফাইল ছবি

মানিকগঞ্জের খুচরা বাজারে গত সাত দিনের তুলনায় বেশিরভাগ সবজির দাম কিছুটা কমেছে। 

এছাড়া, কিছু সবজির দাম অপরিবর্তিত থাকলেও, পেঁয়াজের দাম বেড়েছে প্রকারভেদে কেজিতে ২৫ থেকে ৩০ টাকা। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

আজ বুধবার দুপুরে মানিকগঞ্জের কয়েকটি বাজার ঘুরে দরদাম যাচাই করে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন বাজারে খুচরা ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত সাত দিনে বাজারে বেগুন, শিম, বাঁধাকপি, ফুলকপি, টমেটো, গাজর, চিচিঙ্গা ও লাউয়ের দাম কমেছে। অপরিবর্তিত আছে করলা, গোল আলু, মিষ্টি আলু, কাঁচা কলা, পেঁপে, পালংশাক, লালশাক ও কাঁচামরিচের দাম।

গত সপ্তাহে প্রতিকেজি বেগুন বিক্রি হয়েছে প্রকারভেদে ৬০ থেকে ৮০ টাকায়। আজ বেগুন বিক্রি হয়েছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায়।  

মানিকগঞ্জের সবজির বাজার। ছবি: জাহাঙ্গীর শাহ/স্টার

প্রতি কেজি শিমের দাম ৫০-৬০ থেকে কমে হয়েছে ৪০-৪৫ টাকা। গত সপ্তাহে একটি বাঁধাকপি ও একটি ফুলকপি বিক্রি হয়েছে ৪০-৫০ টাকা করে। আজ বিক্রি হয়েছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়। 

টমেটোর দাম কেজিতে ১০ টাকা কমে আজ বিক্রি হয়েছে ৩০-৪০ টাকায়। প্রতি কেজি গাজরের দাম ৪০ টাকা থেকে কমে হয়েছে ৩০ টাকা এবং চিচিঙ্গার দাম ৬০ টাকা থেকে কমে হয়েছে ৪০ টাকা। 

এছাড়া, আকারভেদে প্রতিটি লাউয়ের দাম ৩০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকায়।

এছাড়া, কেজিপ্রতি করলা ১০০ টাকা, গোল আলু ৩০ টাকা, মিস্টি আলু ৪০ টাকা, লম্বা বেগুন ৩০ টাকা, গোল বেগুন ৬০ টাকা, পেঁপে ৩৫ টাকা, কাঁচা মরিচ ৫০-৬০ টাকা অপরিবর্তিত আছে। 

লাল শাক ও পালং শাকের আটি ১০ টাকা করে এবং কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়।  

বাজারে নতুন এসেছে বরবটি। বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়। তবে, সরবরাহ বেড়ে গেলেই এর দাম কমে যাবে বলে জানালেন বিক্রেতারা।

জেলা শহরের বেউথা এলাকার গৃহিনী রুবিনা আলম রিপা, সেওতার যোবায়ের মাসুম ও মো. হারুনের সঙ্গে সবজির দাম নিয়ে কথা হয়। তারা বলেন, গত সাত দিনের তুলনায় বাজারে সবজির দাম কিছুটা কমেছে। তবে, সেটাও মধ্যবিত্ত পরিবারের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। 

তারা বলেন, 'এদিকে সবজির দাম কমলেও, পেঁয়াজের দাম তো কমছেই না, বরং বাড়ছে। পেঁয়াজের বাড়তি দামের কারণে বাজারে স্বস্তি ফিরছে না।' 

তাদের মতে, কৃষকরা জমিতে চাষ করেও ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। অন্যদিকে, সাধারণ খুচরা ক্রেতাদেরকে উচ্চমূল্যে কিনতে হচ্ছে। 
বাজার মনিটরিংয়ের জোর দাবি জানান তারা।

বাজারের খুচরা বিক্রেতা নায়েব আলী, নুরুল ইসলাম, আব্দুর রশিদ কাজী ডেইলি স্টারকে বলেন, বেশি দাম দিয়ে শাক-সবজি কিনতে হয় বলে তাদের বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

পেঁয়াজের বাড়তি দামের বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মানিকগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এখনো ভারতীয় পেঁয়াজ দেশে আসেনি। খুচরা বাজারে ১২০ টাকা কেজি দরে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে নিয়মিত বাজার তদারকি করা হচ্ছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Prof Yunus named among Time’s 100 Most Influential People of 2025

A tribute article on Prof Yunus was written by Hillary Clinton for the magazine

6m ago