নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে চিকিৎসকদের ওপর কর্মচারীদের হামলায় কর্মবিরতি

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ও চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মীদের হামলায় তিন চিকিৎসকসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
এর প্রতিবাদে এবং হাসপাতালটির পরিচালক অধ্যাপক কাজী দীন মোহাম্মদ ও যুগ্ম পরিচালক অধ্যাপক বদরুল আলমের পদত্যাগের দাবিতে আজ দুপুর ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করেছেন চিকিৎসকরা।
তবে হাসপাতালের জরুরি ও নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) সেবা অব্যাহত ছিল।
তারা বলেছেন, শেখ হাসিনার মদদপুষ্ট পরিচালক পদত্যাগ না করা পর্যন্ত চিকিৎসকরা কাজে ফিরবেন না।
তারা আগামীকাল বৃহস্পতিবারও কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন।
চিকিৎসক ও কর্মচারীরা জানিয়েছেন, চার মাসে আগে নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতাল থেকে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) নেতা অধ্যাপক ডা. গুরুদাস মন্ডলকে পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বদলি করা হয়েছিল। সম্প্রতি তাকে আবার বদলি করে ফিরিয়ে আনা হলে চিকিৎসকদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। এর প্রতিবাদ ও বাতিলের দাবিতে সকালে হাসপাতালের ৪০২ নম্বর রুমে জড়ো হয়েছিলেন চিকিৎসকরা।
সে সময় চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ও আউটসোর্সিংয়ের কর্মীরা আউটডোর ও টিকিট কাউন্টার বন্ধ করে দেন। তারা মিছিল নিয়ে ৪০২ নম্বর রুমের সামনে যান এবং সেখানে চিকিৎসকদের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হন।
চিকিৎসকদের অভিযোগ, হামলাকারীরা হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. কাজী দীন মোহাম্মদের অনুগত।
এই বিষয়ে কথা বলতে অধ্যাপক দীন মোহাম্মদকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে যুগ্ম পরিচালক মো. বদরুল আলম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'একজন চিকিৎসকের বদলিকে কেন্দ্র করে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছিল। দুপক্ষের মধ্যে একটু বাদানুবাদ হয়েছে।'
তিনি আরও বলেন, 'চিকিৎসকদের কোনো কর্মবিরতি নেই, বিষয়টি সমাধান হয়ে গেছে।'
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন চিকিৎসক ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সুবিধা পাওয়া পরিচালক ও যুগ্ম পরিচালকের পদত্যাগ চাই। তাছাড়া বিগত সরকারের আমলে বদলি হওয়া চিকিৎসকদের আবারও নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে পুনর্বাসন করা হচ্ছে, আমরা এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি।'
এদিন বিকেলে সহযোগী অধ্যাপক ড. মাহফুজ রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা আজ কর্মবিরতি পালন করেছি। আগামীকালও কর্মবিরতি পালন করব। হাসপাতালের কর্মচারীরা চিকিৎসকদের ওপর হাত তুলেছে, এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।'
Comments