খাদ্য সরবরাহ নিয়ে অনিশ্চয়তায় পাবনা মানসিক হাসপাতালে রোগী ভর্তি বন্ধ

পাবনা মানসিক হাসপাতাল | ছবি: আহমেদ হুমায়ুন কবির তপু/স্টার

ঠিকাদার নিয়োগ নিয়ে জটিলতায় পাবনা মানসিক হাসপাতালে খাবার সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। যে কারণে নতুন রোগী ভর্তি বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ।

হঠাৎ এই জটিলতা দেখা দেওয়ায় দূর-দূরান্ত থেকে রোগী নিয়ে এসে স্বজনরা ফিরে যাচ্ছেন। হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার থেকে এই অবস্থা চলছে।

কর্তৃপক্ষের প্রত্যাশা, চলতি সপ্তাহেই সমস্যার সমাধান হবে এবং নতুন রোগী ভর্তি নেওয়া সম্ভব হবে।

পাবনা মানসিক হাসপাতাল | ছবি: আহমেদ হুমায়ুন কবির তপু/স্টার

হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, ৫০০ শয্যার বিশেষায়িত এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের খাবার সরবরাহের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল। গত ২৬ জুন দরপত্র উন্মুক্ত করা হয়। আটজন সব শর্ত পূর্ণ করে অংশগ্রহণ করে।

তবে একাধিক সর্বনিম্ন দরদাতা থাকায় কোনো প্রতিষ্ঠানকেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কার্যাদেশ দিতে পারেনি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে হাসপাতালের পরিচালক শাফকাত ওয়াহিদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'প্রাথমিকভাবে আনিক ট্রেডার্স ছিল সর্বনিম্ন দরদাতা। পরবর্তীতে একাধিক সর্বনিম্ন দরদাতা থাকায় কাউকে কার্যাদেশ দেওয়া যায়নি।'

'সংকট নিরসনে কর্তৃপক্ষ কাজ করছে। আশা করা হচ্ছে, দ্রুতই অনিশ্চয়তা দূর হবে,' বলেন তিনি।

শাফকাত ওয়াহিদ বলেন, 'খাদ্য সরবরাহ নিয়ে অনিশ্চয়তার কারণে  গত বৃহস্পতিবার থেকে নতুন রোগী ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। সমস্যা দূর হলে আগামী দুই-এক দিনের মধ্যেই আবারও নতুন রোগী ভর্তি শুরু করা যাবে।'

পাবনা মানসিক হাসপাতালের সহকারী আধ্যাপক ডা. মাসুদ রানা সরকার ডেইলি স্টারকে বলেন, 'নতুন রোগী ভর্তি নেওয়া বন্ধ থাকলেও বহির্বিভাগে রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। প্রতিদিন শতাধিক রোগী বহির্বিভাগে সেবা পাচ্ছেন।'

হাসপাতাল সূত্র আরও জানিয়েছে, সোমবার ৪৩৪ জন রোগী ভর্তি থাকলেও খাবার নিয়ে অনিশ্চয়তা দূর না হলে নতুন রোগী ভর্তি করা যাচ্ছে না।

Comments

The Daily Star  | English

Threat of fresh Rohingya influx looms as clashes erupt in Myanmar

Gunfire and explosions were heard late Friday night from villages across the border in Myanmar opposite Whykong union in Teknaf upazila of Cox’s Bazar. Residents, gripped by panic, reported that this was the most intense gunfire they had heard in months.

2h ago