চট্টগ্রামে শেষ হলো ৩ দিনব্যাপী স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা প্রদর্শনী

সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আয়োজিত চট্টগ্রাম নগরীতে তিন দিনব্যাপী স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা এক্সপো শনিবার শেষ হয়েছে।
চট্টগ্রামে জিইসি কনভেনশন সেন্টারে হেলথ অ্যান্ড মেডিকেল এক্সপোতে চিকিৎসা সরঞ্জাম প্রদর্শন করা হয়। ছবি: রাজীব রায়হান/স্টার

সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আয়োজিত চট্টগ্রাম নগরীতে তিন দিনব্যাপী স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা এক্সপো শনিবার শেষ হয়েছে।

দেশের সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা ও সচেতনতা নিশ্চিত করার স্লোগান নিয়ে বৃহস্পতিবার এ প্রদর্শনী শুরু হয়। ফেসবুক ভিত্তিক গ্রুপ মেডি ইনফো ও মাস্ক ম্যানেজমেন্টের সহযোগিতায় নগরীর জিইসি কনভেনশন সেন্টারে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. ইসমাইল খান।

বৃহস্পতি থেকে শনিবার সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এই প্রদর্শনীতে বিনা মূল্যে স্বাস্থ্যসেবা ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ পাওয়া যায়।

অনুষ্ঠানে দর্শনার্থীদের বিনামূ্ল্যে রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, রক্তের গ্রুপ ও চোখ পরীক্ষা করা হয়। এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে বিষয়ভিত্তিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অধ্যাপক ড. ইসমাইল খান বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি আমাদের শিক্ষা দিয়েছে ঐক্যের মাধ্যমে যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলা করা যায়।

প্রদর্শনীর আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, এ ধরনের আয়োজনের মাধ্যমে সবকিছুকে এক ছাদের নিচে আনার মধ্যে রয়েছে মানবিক আবেদন। এতে সময় ও অর্থ অনেকভাবে সাশ্রয় হয়।

সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা, লেখক ও সাংবাদিক শওকত বাঙ্গালি বলেন, 'সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে মানুষের সচেতনতা প্রয়োজন। এই প্রদর্শনী সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্থ্য সচেতনতা সৃষ্টি করতে ভূমিকা রাখবে।'

শুক্রবার মেলার দ্বিতীয় দিনে পুষ্টি ও ওজন নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে সেমিনার পরিচালনা করেন মিডিয়া ব্যক্তিত্ব পুষ্টিবিদ হাসিনা আক্তার লিপি। বিশিষ্ট শিশু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. বসন মুহুরী একই দিনে শিশু বিকাশ ও প্রতিবন্ধীতার কারণ বিষয়ক সেমিনার পরিচালনা করেন।

এছাড়া স্বাস্থ্য খাতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া ১০ ব্যক্তিত্বকে শনিবার সমাপনী দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে ফজলুল হক চেয়ারম্যান বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা হয়।

সম্মাননা প্রাপ্তরা হলেন- চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ডা. রবিউল হোসেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ক্যান্সার ওয়ার্ডের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক ও পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান সুফি মো. মিজানুর রহমান, সানশাইন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সাফিয়া গাজী রহমান, চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে রক্তদানের ৫০ বছরের সংগঠন সন্ধানি, সরকারি কর্মচারী মোহাম্মদ নেছার, যিনি নিজের বেতনে দরিদ্রদের ওষুধ বিতরণ করেন, সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক শওকত হোসেন, মানবিক পুলিশ মঞ্জুর হোসাইন, যিনি মানুষের সেবা প্রদান করেন, গাউছিয়া কমিটি বাংলাদেশ যা কোভিড-১৯ সময়কালে রোগীদের ও বিএম ডিপোর অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছিল এবং কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালীন মানবিক সেবা প্রদানকারী সংস্থা আল মানাহিল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ।

Comments