ক্যান্সার স্বেচ্ছাসেবীদের প্রথম সম্মেলন

বিশ্ব ক্যান্সার দিবস-২০২৩ উপলক্ষে ক্যান্সার স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হলো ক্যান্সার স্বেচ্ছাসেবীদের প্রথম সম্মেলন। প্রশিক্ষিত ও দক্ষ কমিউনিটি স্বেচ্ছাসেবক গড়ে তুলতে ও ক্যান্সার সেবায় সবাইকে উদ্বুদ্ধ করতে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
ছবি: সংগৃহীত

বিশ্ব ক্যান্সার দিবস-২০২৩ উপলক্ষে ক্যান্সার স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হলো ক্যান্সার স্বেচ্ছাসেবীদের প্রথম সম্মেলন। প্রশিক্ষিত ও দক্ষ কমিউনিটি স্বেচ্ছাসেবক গড়ে তুলতে ও ক্যান্সার সেবায় সবাইকে উদ্বুদ্ধ করতে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

ক্যান্সার অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ আয়োজিত এই সম্মেলনে সারা দেশ থেকে প্রায় শতাধিক স্বেচ্ছাসেবী অংশগ্রহণ করেন।

সম্মেলনে ক্যান্সারের কারণ, লক্ষণ, স্ক্রিনিং, প্রতিরোধ, ক্যান্সার রোগীদের সেবা ও কমিউনিটি ভলেন্টিয়ারিংয়ের নানা দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। মেডিকেল শিক্ষার্থীদের সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল স্টুডেন্টস সোসাইটি (বিএমএসএস) এ সম্মেলনের ইয়ুথ এনগেইজমেন্ট পার্টনার হিসেবে অংশগ্রহণ করে।

ক্যান্সার অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের মহাসচিব ও ক্যান্সার প্রতিরোধ বিশেষজ্ঞ ডা. মোহাম্মদ মাসুমুল হক জানান, এই ফাউন্ডেশন ২০১৭ সাল থেকে ক্যান্সার সচেতনতা, স্ক্রিনিং, অসহায় ও দুস্থ ক্যান্সার রোগীদের পুনর্বাসনে কাজ করে যাচ্ছে।

সম্মেলনে সর্বস্তরের কমিউনিটি ভলান্টিয়ারদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে, যা ক্যান্সার প্রতিরোধ ও প্রতিকারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ, বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটি হাসপাতালের পরিচালক ও এই ফাইন্ডেশনের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা এম এ হাই। তিনি বলেন, 'সমাজের সর্বস্তরের ক্যান্সার সচেতনতাকে ছড়িয়ে দিতে তরুণ সমাজকেই স্বেচ্ছাসেবকের মূল ভূমিকা নিতে হবে।'

বিশেষ অতিথি হিসেবে গাইনি রোগ বিশেষজ্ঞ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক লতিফা শামসুদ্দিন বলেন, 'বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ২০৩০ সাল থেকে জরায়ু মুখের ক্যান্সার নির্মূলের লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে, আর এক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবীদেরও এগিয়ে আসতে হবে। তবেই ক্যান্সার নির্মূলের এই এজেন্ডা বাস্তবায়ন সম্ভব। জরায়ু মুখ ক্যান্সার নির্মূলের এই যুদ্ধেও তরুণ সমাজই নেতৃত্ব দেবে।'

সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের শিশু রক্তরোগ ও ক্যান্সার বিভাগের প্রধান অধ্যাপক জোহারা জামিলা খান, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক বিভাগীয় চেয়ারম্যান ও মেডিকেল অনকোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা সারওয়ার আলম, জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট হাসপাতালের ক্যান্সার রোগতত্ব বিভাগের প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন।

Comments