ধ্বংসস্তূপ, কান্না, অপেক্ষা…
রাস্তার পাশেই ছিল বাড়ি। ভূমিকম্পের ২ দিন পরেও পরিবার-পরিজনের খোঁজে প্রচণ্ড শীতে রাস্তার পাশে অপেক্ষা করছেন তারা, হয়তো স্বজনদের জীবিত খুঁজে পাওয়া যাবে।
বাড়িঘর হারিয়ে ঠাঁই মিলেছে আশ্রয়কেন্দ্রে; উদ্ধারকর্মীদের কাছে মোবাইলে ছবি দেখিয়ে হন্যে হয়ে খোঁজ করছেন প্রিয় মানুষটির।
গত এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক এই ভূমিকম্পের ২ দিন পরেও তুরস্ক-সিরিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে জীবিতদের উদ্ধারে প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা।
বুধবার মৃতের সংখ্যা ১১ হাজার ২০০ ছাড়িয়েছে, আশঙ্কা করা হচ্ছে এই ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা আরও কয়েক হাজার বাড়তে পারে।
সর্বশেষ ২০১১ সালের ১১ মার্চ জাপানে এমন ভয়াবহ ভূমিকম্প দেখেছিল বিশ্ব। ৯ দশমিক শূন্য মাত্রার সেই ভূমিকম্প ও সুনামিতে জাপানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে প্রায় ১৫ হাজার ৬৯০ জন নিহত হয়েছিল।
তুরস্কের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চল ও সিরিয়ার উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় ২ কোটি ৩০ লাখেরও বেশি হতে পারে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান দেশটির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ৩ মাসের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন।
সিরিয়ার যে অঞ্চলগুলো সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে সেসব অঞ্চলের ২ লাখ ৯৮ হাজারের বেশি মানুষ বাড়িঘর হারিয়েছেন। তাদের জন্য ১৮০টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
Comments