করাচি পুলিশ প্রধানের অফিসে হামলা

নিহত ৫, আহত ১৮

২ মরদেহ উদ্ধার, গোলাগুলি চলছে
করাচি পুলিশ প্রধানের অফিসের বাইরে পুলিশ সদস্যদের সতর্ক অবস্থান। ছবি: রয়টার্স

পাকিস্তানের করাচি পুলিশ প্রধানের অফিসে হামলার ঘটনায় ৫ জন নিহত ও ১৮ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ২ জন পুলিশ ও রেঞ্জার্স সদস্য আছেন। বাকী ৩ জন হামলাকারী। টানা প্রায় ৪ ঘণ্টা অভিযানের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ শুক্রবার রাত ১২টার দিকে এ তথ্য জানিয়েছে।

সংবাদে বলা হয়েছে, পাকিস্তানে নিষিদ্ধ ঘোষিত তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) এ হামলার দায় স্বীকার করেছে।

পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ জিও নিউজকে জানিয়েছে, শুধু ওই ঘটনায় শোক প্রকাশই করা হবে না, হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে হামলার ঘটনা ঘটে। রাত ১০টা ৪৬ মিনিটে পুলিশ ও রেঞ্জার্স সদস্যরা ৫তলা ভবনটি নিজেরে নিয়ন্ত্রণে নেয়।

এর আগে পুলিশ সার্জন ডা. সুমাইয়া সৈয়দ জানান, ২টি মরদেহ জিন্নাহ পোস্টগ্র্যাজুয়েট মেডিকেল সেন্টারে (জেপিএমসি) আনা হয়েছে। নিহতদের একজনকে পুলিশ কনস্টেবল গোলাম আব্বাস বলে জানান তিনি।

এধি ফাউন্ডেশনের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, দ্বিতীয় ব্যক্তির নাম আজমল মসিহ (৪০)।

ডা. সৈয়দ জানান, ওই ঘটনায় আহতদের মধ্যে আছেন, পুলিশ সদস্য লতিফ (৪৫), রেঞ্জার্স অফিসার আব্দুল রহিম (৪০) ও ইডি কর্মী সাজিদ (২৫)।

সিন্দু রেঞ্জার্সের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ৮ থেকে ১০ জন বন্দুকধারী সন্ত্রাসী এই হামলায় জড়িত।

ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিন্ধুর মুখ্যমন্ত্রী মুরাদ আলি শাহ বলেছেন, 'পুলিশ প্রধানের অফিসে হামলা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমি চাই অতিরিক্ত আইজি অফিসে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করা হোক।'

এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার কাছ থেকে একটি প্রতিবেদনও চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী এবং জানিয়েছেন যে, তিনি ব্যক্তিগতভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।

এদিকে, এক বিবৃতিতে হামলার শিকার হওয়ার কথা জানিয়েছে সদর থানা পুলিশও। এসএইচও, পিআই খালিদ হুসেন মেমন জানিয়েছেন, করাচি পুলিশ অফিসের কাছে সদর থানায় হামলা চালিয়েছে অজ্ঞাতরা। সেখানে সর্বত্র গুলি চলছে।

Comments

The Daily Star  | English

Not satisfied at all, Fakhrul says after meeting Yunus

"The chief adviser said he wants to hold the election between December and June"

3h ago