জাপানের প্রধানমন্ত্রী কিশিদার ওপর ‘বোমা সদৃশ বস্তু’ নিক্ষেপ

ওয়াকায়ামার সাইকাজাকি মৎস্য বন্দরে খোলা জায়গায় বক্তব্য দেওয়ার সময় কিশিদাকে লক্ষ্য করে ‘স্মোক বোমা’ ছোড়া হয়। সেসময় বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শোনা যায়।
কিশিদার ওপর বোমা হামলা
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার ওপর হামলা পর সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। ছবি: রয়টার্স

জাপানের পশ্চিমাঞ্চলে ওয়াকায়ামা এলাকায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার ওপর 'স্মোক বোমা' সদৃশ বস্তু নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। তবে তাকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।

আজ শনিবার জাপানের সংবাদমাধ্যম এনএইচকের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ওয়াকায়ামার সাইকাজাকি মৎস্য বন্দরে খোলা জায়গায় বক্তব্য দেওয়ার সময় কিশিদাকে লক্ষ্য করে 'স্মোক বোমা' ছোড়া হয়। সেসময় বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শোনা যায়।

এতে আরও বলা হয়, এ ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীকে নিরাপত্তাকর্মীরা ঘিরে ফেলেন। তাকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সন্দেহভাজন হামলাকারীকে আটক করেছে।

সংবাদমাধ্যম এনএইচকে জানায়, মৎস্য বন্দরটি পরিদর্শনের পর কিশিদা যেই মাত্র বক্তব্য দিতে শুরু করেছেন, তখনই ঘটনাটি ঘটে।

কিশিদার লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এলডিপি) জানায়, স্থানীয় সময় ১১টা ৪০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য দেওয়ার কথা ছিল।

এলডিপির টুইটার বার্তায় বলা হয়, এ ঘটনার পরও প্রধানমন্ত্রী কিশিদা স্থানীয় সময় বিকেলে তার নির্ধারিত প্রচারণা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।

ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, মানুষ ছুটে পালাচ্ছে। পুলিশ কর্মকর্তারা এক ব্যক্তিকে মাটিতে চেপে ধরে রেখেছে। সেই ব্যক্তির বয়স ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হতে পারে।

ওয়াকায়ামার পুলিশ সদর দপ্তরের এক প্রতিনিধির সঙ্গে রয়টার্স যোগাযোগ করলে এ ঘটনা সম্পর্কে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

প্রত্যক্ষদর্শী এক নারী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'মাথার ওপর দিয়ে কিছু একটা উড়ে আসতে দেখি। আমার অস্বস্তি লাগছিল। আমরা অবিশ্বাস্য দ্রুতগতিতে সেখান থেকে পালিয়ে যাই। এরপর বিকট শব্দ শুনি।'

আগামী মাসে হিরোশিমায় জি৭ এর বৈঠক আয়োজন করা হচ্ছে। আগামীকাল সংগঠনটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের পর্যটন নগরী কারুইজাওয়ায় কিশিদার সঙ্গে দেখা করার কথা আছে।

গত জুলাইয়ে জাপানের পার্লামেন্ট নির্বাচনের প্রচারণা চালানোর সময় গুলিতে নিহত হন দেশটির দীর্ঘ সময়ের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। এরপর দেশটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠে।

Comments