ক্রেমলিনে ড্রোন হামলায় কিয়েভ জড়িত নয়: ইউক্রেন

ক্রেমলিনে ড্রোন হামলায় কিয়েভ জড়িত নয় বলে জানিয়েছে ইউক্রেন।
আরআইএ’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্রেমলিনে পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে দুটি ড্রোন হামলা চালানো হয়, তবে দুটি আক্রমণই প্রতিহত করা হয়েছে। ছবি: রয়টার্স

ক্রেমলিনে ড্রোন হামলায় কিয়েভ জড়িত নয় বলে জানিয়েছে ইউক্রেন।

আজ বুধবার বিবিসি জানায়, রাশিয়ার কথিত ড্রোন হামলার সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছে ইউক্রেন।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মুখপাত্র বলেছেন, 'গত বছর রাশিয়ার আগ্রাসনের পর থেকে ইউক্রেন তার নিজস্ব ভূখণ্ড মুক্ত করার দিকেই বেশি মনোযোগ দিয়েছে।'

ইউক্রেনের অপর এক কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেছেন, 'রাশিয়ার এমন দাবি ইঙ্গিত দেয় যে, তারা ইউক্রেনে "বড় আকারের সন্ত্রাসী হামলা" চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।'

জেলেনস্কির মুখপাত্র সের্গেই নাইকিফোরভ বলেন, 'মস্কোতে যা ঘটছে, তা স্পষ্টতই ৯ মের আগে পরিস্থিতিকে আরও উস্কে দেওয়ার পরিকল্পনা।'

এর আগে, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে হত্যার উদ্দেশ্যে ইউক্রেন ক্রেমলিনে ড্রোন হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করে রাশিয়া।

রয়টার্স জানায়, গতরাতে এই হামলা হয় বলে জানিয়েছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আরআইএ।

এটিকে 'পরিকল্পিত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড' উল্লেখ করে ক্রেমলিন জানিয়েছে, এ ঘটনার প্রতিশোধ নেওয়া হবে।

আরআইএ'র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্রেমলিনে পুতিনের বাসভবন লক্ষ্য করে দুটি ড্রোন হামলা চালানো হয়, তবে দুটি আক্রমণই প্রতিহত করা হয়েছে।

এ ঘটনায় পুতিন আহত হননি এবং ক্রেমলিনের ভবনগুলো অক্ষত আছে।

আরআইএ জানায়, আগামী ৯ মে বিজয় দিবসের প্যারেডের প্রাক্কালে এ ধরনের 'পরিকল্পিত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড'কে প্রেসিডেন্টকে হত্যার প্রচেষ্টা হিসেবে দেখছে ক্রেমলিন। 

তবে এ ঘটনার জন্য পুতিন তার শিডিউলে কোনো পরিবর্তন আনেননি এবং যথারীতি কাজ করছেন বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়।

উপযুক্ত সময়ে এ ঘটনার প্রতিশোধ নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে ক্রেমলিন।

রাশিয়ার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ সামরিক নিউজ আউটলেট জাভেজদা চ্যানেলে প্রচারিত যাচাই না করা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, কথিত ড্রোন হামলার পর প্রাচীর ঘেরা মূল ক্রেমলিন প্রাসাদের পেছনে ফ্যাকাশে ধোঁয়া উড়ছে।

 

Comments

The Daily Star  | English

288 Myanmar security personnel sent back from Bangladesh

Bangladesh this morning repatriated 288 members of Myanmar's security forces, who had crossed the border to flee the conflict between Myanmar's military junta and the Arakan Army

9m ago