সিরিয়ায় গুম ব্যক্তিদের খোঁজে জাতিসংঘের কমিশন গঠনের প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত বাংলাদেশসহ ৬২ দেশ

ছবি: সংগৃহীত

সিরিয়ায় যুদ্ধে গুম বা নিখোঁজ হওয়া প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার মানুষের অবস্থান ও চূড়ান্ত পরিণতির বিষয়ে খোঁজখবর নিতে একটি স্বতন্ত্র তদন্ত কমিশন গঠনের প্রস্তাব জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গৃহীত হয়েছে।

আলজাজিরা জানায়, নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবার ও স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার জাতিসংঘে এ প্রস্তাব গৃহীত হয়।

এই প্রস্তাব গ্রহণের ওপর ভোটের সময় ১৯৩টি দেশের মধ্যে ৮৩টি দেশ পক্ষে, ১১টি দেশ বিপক্ষে ভোট দিয়েছে।

এ প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত ছিল বাংলাদেশসহ ৬২টি দেশ।

সিরিয়া সরাসরি এই রেজুলেশনের বিরোধিতা করেছে। 'অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে' অভিযোগ তুলে তারা সরাসরি জানিয়েছে যে এ ধরনের স্বতন্ত্র কমিটিকে কোনো সহযোগিতা তারা করবে না।

প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে রাশিয়া, চীন, কিউবা, বলিভিয়া, নিকারাগুয়া, ইরান, বেলারুশ ও জিম্বাবুয়েসহ ১১টি দেশ।

অন্যদিকে ভোটদানে বিরত থাকা দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে সৌদি আরব, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, মিশর, লেবানন, মালয়েশিয়া।

প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, মিয়ানমার, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের অধিকাংশ দেশ।

প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ১২ বছরের সিরিয়া যুদ্ধের পরও সেখানে যেসব মানুষ গুম হয়েছেন তাদের পরিণতি অথবা তারা কোথায় আছেন- এ বিষয়ে তাদের পরিবারের কাছে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রগতি হয়নি বললেই চলে।

প্রস্তাব পাস হওয়ার ফলে জাতিসংঘের অধীনে একটি নিরপেক্ষ 'ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইনস্টিটিউশন অব মিসিং পারসন্স ইন দ্য সিরিয়ান আরব রিপাবলিক' গঠনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ভিকটিম যারা বেঁচে আছেন তাদেরকে এবং গুম হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারকে পর্যাপ্ত সহায়তা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। 

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে ৮০ কার্যদিবসের মধ্যে নতুন এ কমিটির জন্য শর্তাবলী উপস্থাপন করবেন এবং এটিকে কার্যকর করার ব্যবস্থা নেবেন।

Comments

The Daily Star  | English

No price too high for mass deportations

US President-elect Donald Trump has doubled down on his campaign promise of the mass deportation of illegal immigrants, saying the cost of doing so will not be a deterrent.

5h ago