ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ: অন্তত ১১ সাংবাদিক নিহত

ইসরায়েলের বিমান হামলায় আল-খামসা নিউজের প্রধান সম্পাদক সাঈদ আল-তাওয়াইল নিহত হন। শোকাহত মানুষেরা তার মরদেহ বহন করেন, এসময় প্রেস লেখা একটি নীল রঙের হেলমেট সেখানে রাখা ছিল। ছবি: রয়টার্স

ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে এ পর্যন্ত অন্তত ১১ সাংবাদিক নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস।
 
আজ শনিবার কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টসের বরাতে মার্কিন সংবাদমাধ্যমটি জানায়, নিহতদের মধ্যে ৯ জন ফিলিস্তিনি সাংবাদিক। একজন লেবানিজ এবং একজন ইসরায়েলি। এ ছাড়াও, একজন ইসরায়েলি সাংবাদিক নিখোঁজ রয়েছেন এবং আহত হয়েছে আরও বহু সাংবাদিক।
 
প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্যাপক উচ্ছেদ, বিমান হামলা, স্থলযুদ্ধ এবং তীব্র বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে গাজা-ইসরায়েল যুদ্ধ রিপোর্টিং করা অত্যন্ত বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে।
 
কমিটি গাজা ও এর আশেপাশে নিহত, আহত ও নিখোঁজ সাংবাদিকদের খোঁজে অধিকতর তদন্ত চালাচ্ছে বলেও জানিয়েছে।
 
শুক্রবার লেবাননে হামলায় রয়টার্সের এক ভিডিওগ্রাফার নিহত এবং কমপক্ষে ছয় সাংবাদিক আহত হয়েছেন।

কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টসের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক সমন্বয়ক শেরিফ মনসুর বলেন, 'গাজার সাংবাদিকরা তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছিলেন, একইসঙ্গে তাদের পরিবারকে সরিয়ে নেওয়া এবং তাদের সুরক্ষার জন্য কাজ করছিলেন। অনেকে তাদের বাড়ি-ঘর এবং অফিস হারিয়েছেন, কেউ কেউ হাসপাতালে কাজ করছেন, কারণ এটিই একমাত্র জায়গা যেখানে তারা বিদ্যুৎ এবং ইন্টারনেট পেতে পারেন।'

মনসুর বলেন, 'তারাই এখন সবচেয়ে অরক্ষিত এবং সবচেয়ে প্রয়োজনীয়। কারণ তারাই আমাদের জানাচ্ছেন সেখানে কী ঘটছে।'
 
মোহাম্মদ মাহভিশ (২৪) নামে এক ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক গাজা থেকে গতকাল একটি হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা পাঠান, যেখানে তিনি বলেন, 'এখানে খুবই মর্মান্তিক ও খারাপ অবস্থা। আমাকে যদি দীর্ঘ সময়ের জন্য না পাওয়া যায় তাহলে ধরে নিতে হবে আমার ফোনের চার্জ ও ইন্টারনেট খুব দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। জানি না তখন কী হবে বা কীভাবে রিপোর্ট করব।'

গতকাল গাজা থেকে ১০ লাখের বেশি মানুষকে ইসরায়েল সরে যেতে বলার পর সেখানে সাংবাদিকদের জন্যও কাজ করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। 

সপ্তাহের শুরুতে ইসরায়েলের বিমান হামলায় আল-খামসা নিউজের প্রধান সম্পাদক সাঈদ আল-তাওয়াইল নিহত হন। শোকাহত মানুষেরা তার মরদেহ বহন করেন, এসময় প্রেস লেখা একটি নীল রঙের হেলমেট সেখানে রাখা ছিল।

Comments

The Daily Star  | English

Drug smuggling via air, land routes on the rise

This grim picture emerges as Bangladesh, like other countries around the world, observes the International Day Against Drug Abuse and Illicit Trafficking today.

13h ago