আহত রোগী ও বিদেশি নাগরিকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে রাফাহ সীমান্ত

আহত রোগী ও বিদেশি নাগরিকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে রাফাহ সীমান্ত। ছবি: এএফপি

রাফাহ ক্রসিং খুলে দেওয়া হয়েছে। গেট খুলে দেওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই অসংখ্য মানুষ ও গাড়ি গেট পার হয়ে মিশরের দিকে এগোতে দেখা যায়।

আজ বুধবার আলজাজিরা এই তথ্য জানায়। বাংলাদেশ সময় দুপুর পৌনে ২টার দিকে সীমান্ত খুলে দেওয়া হয়।

গাজার ক্রসিংয়ের জেনারেল অথরিটি আল জাজিরাকে জানায়, ৩৩৫ জন বিদেশি পাসপোর্টধারী ও ৭৬ জন আহত ফিলিস্তিনি এবং তাদের সঙ্গীরা রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং দিয়ে মিশরে প্রবেশ করেছে।

রাফা ক্রসিং খুলে দেওয়ার কয়েক মিনিট আগে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি বলেন, তিনি আশা করছেন 'বিদেশি নাগরিকের প্রথম দলটি' আজ গাজা ছেড়ে যাবে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে তিনি বলেন, 'যুক্তরাজ্যের প্রতিনিধিরা দেশটির নাগরিকদের সহায়তা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছেন। তারা সীমান্ত পার হলেই সহায়তা পাবেন।'

তিনি আরও বলেন, 'গাজার বাসিন্দাদের জীবন বাঁচাতে সেখানে মানবিক ত্রাণ দ্রুত পৌঁছানো খুবই জরুরি।'

সিএনএন এক সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, গাজা থেকে সব বিদেশি নাগরিক ও গুরুতর আহত বেসামরিক ব্যক্তিদের মুক্তি দেওয়া হবে। কাতারের মধ্যস্থতায় এ বিষয়ে একটি ঐক্যমতে পৌঁছেছে ইসরায়েল, হামাস ও মিশর। বিষয়টিতে সমন্বয়কারীর ভূমিকা পালন করে যুক্তরাষ্ট্র।

তবে এই চুক্তির সঙ্গে জিম্মি মুক্তি আলোচনার কোনো সম্পর্ক নেই। কবে, কখন এবং কতজন মুক্তি পাবেন, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।

গতকাল মঙ্গলবার বার্তাসংস্থা এএফপি জানায়, রাফাহ সীমান্তে অসংখ্য অ্যাম্বুলেন্স এসে জমায়েত হয়েছে। সংস্থাটি এক মিশরীয় চিকিৎসা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানায়, 'সীমান্তে মেডিকেল টিম উপস্থিত থেকে আহতদের পরীক্ষা করবে। তারা নির্ধারণ করবে কাকে কোন হাসপাতালে পাঠানো হবে।'

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তা আরও জানান, রাফাহ থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে উত্তর সিনাই উপদ্বীপে অবস্থিত শেখ জুয়ায়েদ শহরে একটি ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপন করা হবে। সেখানে আহত ফিলিস্তিনিদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে।

আজ সকালে আল জাজিরার সাংবাদিকরা রাফাহ সীমান্ত থেকে জানিয়েছিলেন, বেশ কয়েকজন মানুষ রাফাহ ক্রসিংয়ের গেটের সামনে অপেক্ষা করছেন। বেশ কিছু অ্যাম্বুলেন্স ও অন্যান্য গাড়িও দেখা গেছে সেখানে।

Comments

The Daily Star  | English

Technical education hit by teacher shortage, falling enrolment

Bangladesh’s technical education sector is facing a slow-burning crisis, shaped by a severe shortage of teachers, poor infrastructure, and steadily declining student interest.

10h ago