আইসল্যান্ডে ১৪ ঘণ্টায় ৮০০ ভূমিকম্প, অগ্ন্যুৎপাতের আশঙ্কায় জরুরি অবস্থা

সতর্কতা হিসেবে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর গ্রিন্দাভিকে বসবাসকারী কয়েক হাজার মানুষকে সরিয়ে নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
প্রতীকী ছবি। রয়টার্স

আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের আশঙ্কায় ভূমিকম্পের পর আইসল্যান্ডে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। সতর্কতা হিসেবে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর গ্রিন্দাভিকে বসবাসকারী কয়েক হাজার মানুষকে সরিয়ে নিচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

বিবিসি জানায়, অক্টোবরের শেষ থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম আইসল্যান্ডে ২০ হাজারের বেশি ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলীয় রেইকজেনেস উপদ্বীপে শুক্রবার ১৪ ঘণ্টায় ৮০০ ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এটিকে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুত্পাতের পূর্বাভাস বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ফ্যাগ্রাডালসফজল আগ্নেয়গিরির চারপাশে এই ভূমিকম্পের কারণে উদ্বেগ জানিয়েছে আইসল্যান্ডের আবহাওয়া অফিস। প্রচুর পরিমাণে ম্যাগমাগলিত শিলা ভূগর্ভে ছড়িয়ে পড়ছে বলে উদ্বেগ জানায় তারা।

আইসল্যান্ডের নাগরিক সুরক্ষা ও জরুরি ব্যবস্থাপনা বিভাগ এক বিবৃতিতে জানায়, ম্যাগমা টানেল গ্রিন্দাভিকে পৌঁছাতে পারে এমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দিতে পারছে না আবহাওয়া অফিস। এ কারণেই সতর্কতা হিসেবে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত এসেছে।

সবাইকে শান্ত থাকার জন্য আহ্বান জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'সবাইকে অবশ্যই শহর ছেড়ে যেতে হবে। তবে এটি কোনো জরুরি স্থানান্তর নয়। কোনো তাৎক্ষণিক বিপদ আসন্ন নেই। প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা হিসেবে গ্রিন্দাভিক বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।'

শহরের সব রাস্তা জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বন্ধ রয়েছে, যাতে যানজট এড়ানো যায়।

আবহাওয়া অফিস বলছে, ভূমিকম্পের কার্যকলাপে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটেছে। ম্যাগমা সম্ভবত শহরের নিচে প্রসারিত হয়েছে। কোথায়, কখন অগ্নুৎপাত হবে তা 'ঠিক নির্ধারণ করা সম্ভব নয়'।

এর আগে ২০২১ সালের শুরু থেকে জুলাই ২০২৩ পর্যন্ত রেকজেনেস উপদ্বীপে ৩টি অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা ঘটে।

আইসল্যান্ডে রয়েছে ৩৩টি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি, যা ইউরোপে সর্বোচ্চ। আগ্নেয়গিরিবিদরা মনে করেন, আগ্নেয়গিরি বাড়ার নতুন চক্র কয়েক দশক বা শতাব্দী ধরে চলতে পারে।

Comments

The Daily Star  | English

Bangladeshi students terrified over attack on foreigners in Kyrgyzstan

Mobs attacked medical students, including Bangladeshis and Indians, in Kyrgyzstani capital Bishkek on Friday and now they are staying indoors fearing further attacks

3h ago