উরুগুয়ের নার্সিং হোমে আগুনে মৃত ১০

উরুগুয়ের জনস্বাস্থ্য বিষয়ক মন্ত্রী কারিনা রান্দো সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটি একটি দুর্ঘটনা’।
ট্রেইনতা ই ত্রেস শহরের নার্সিং হোমে অগ্নিদুর্ঘটনায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত
ট্রেইনতা ই ত্রেস শহরের নার্সিং হোমে অগ্নিদুর্ঘটনায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

উরুগুয়ের রাজধানী থেকে প্রায় ২৯০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ত্রেইনতা ই ত্রেস শহর। সেখানে একটি নার্সিং হোমে রোববার অগ্নিদুর্ঘটনায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। 

আজ সোমবার এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি ও ডয়চে ভেলে।  

আনুষ্ঠানিক বিবৃতি মতে, মৃতদের মধ্যে আটজন নারী ও দুইজন পুরুষ।

দমকল বাহিনীর কর্মীরা নার্সিং হোমের মূল প্রবেশপথটি চুরমার অবস্থায় পান। তারা বসার ঘরে আগুন দেখতে পান। আগুন থেকে পুরো নার্সিং হোমে ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়েছিল।

হাসপাতালটি খুব বড় নয়। সব মিলিয়ে এতে ছয়টি কক্ষ ছিল। সেখানে অধিকাংশই প্রবীণ নাগরিকেরা ভর্তি ছিলেন। ।

উরুগুয়ের জনস্বাস্থ্য বিষয়ক মন্ত্রী কারিনা রান্দো সাংবাদিকদের বলেন, 'এটি একটি দুর্ঘটনা'।

'একটি ঘর গরম করার হিটার থেকে এই আগুনের সূত্রপাত হয়ে থাকতে পারে', যোগ করেন তিনি।

তিনি নার্সিং হোম সম্পর্কে বলেন, 'এই প্রতিষ্ঠানটি বেশ ভালো অবস্থায় ছিল। আমরা সম্প্রতি এটি পরিদর্শন করেছিলাম এবং তেমন কোনো সমস্যা খুঁজে পাইনি।'

বিবৃতি মতে, ধোঁয়াতেই ১০ জনের মৃত্যু হয়। তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। হাসপাতালে এক ২০ বছরের যুবক ছিলেন। তিনি সেখানে কাজ করতেন। আগুন লাগার পর তিনি পালিয়ে প্রাণে বেঁচেছেন।

ধারণা করা হচ্ছে, হাসপাতালের বসার ঘরে আগুন লাগে। তবে কীভাবে আগুন লাগলো, তা এখনো জানা যায়নি। যে যুবক প্রাণে বেঁচেছেন, তিনি গ্যারেজের ভেতর দিয়ে বাইরে এসেছেন বলে জানা গেছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মৃতদের মধ্যে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে ঘটনাস্থলেই। তিনজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর সেখানে তাদেরকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।

উরুগুয়ের ৩৪ লাখ মানুষের মধ্যে ১৬ শতাংশের বয়স ৬৫ বছরের বেশি।

Comments