হাসান নাসরাল্লাহ নিহত, নিশ্চিত করল হিজবুল্লাহ

শিয়া নেতা হাসান নাসরাল্লাহ ১৯৯২ সাল থেকে হিজবুল্লাহর নেতৃত্বে ছিলেন।
টেলিভিশনে বক্তব্য রাখছেন হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ। ছবি: এএফপি
টেলিভিশনে বক্তব্য রাখছেন হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ। ছবি: এএফপি

লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ইসরায়েলি হামলায় সংগঠনের প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে হিজবুল্লাহ।

আজ শনিবার হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয় বলে জানিয়েছে বিবিসি।

এর আগে, বৈরুতে সিরিজ বোমা হামলায় হাসান নাসরাল্লাহ নিহত হয়েছেন বলে দাবি করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।

শিয়া নেতা হাসান নাসরাল্লাহ ১৯৯২ সাল থেকে হিজবুল্লাহর নেতৃত্বে ছিলেন। সংগঠনটিকে একটি রাজনৈতিক ও সামরিক শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে তার।

ইরান ও এর সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির সঙ্গেও হাসান নাসরুল্লাহর ছিল ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ।

নাসরাল্লাহ কয়েক বছর ধরেই জনসমক্ষে আসছিলেন না। ইসরায়েলের হাতে হত্যার শিকার হওয়া থেকে বাঁচতেই তিনি লোকচক্ষুর আড়ালে ছিলেন বলে মনে করা হয়।

সম্প্রতি তিনি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে টেলিভিশন ভাষণে বলেছিলেন, 'পেজার ও ওয়াকিটকি বিস্ফোরণ সব সীমা ছাড়িয়ে গেছে।'

নাসরাল্লাহ আরও বলেন, 'এই আক্রমণ যাবতীয় আইন, নৈতিকতা ও নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। এটাকে যুদ্ধ ঘোষণা বা যুদ্ধাপরাধ বলা যেতে পারে।'

নাসরুল্লাহকে হত্যা করা হয়েছে—এমন খবর জানার পরই ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে দেশের ভেতর একটি নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে জানিয়েছে, তারা যেকোনো মূল্যে গাজা ও ফিলিস্তিন এবং লেবানন ও এর জনগণকে রক্ষা করবে।

এদিকে ইসরায়েলের নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরানের একটি উড়োজাহাজকে লেবাননের আকাশসীমায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে।

লেবাননের পরিবহন মন্ত্রণালয় রয়টার্সকে জানায়, বৈরুতে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলকে ইসরায়েল সতর্ক করে জানায় যে, উড়োজাহাজটি অবতরণ করলে তারা 'শক্তি প্রয়োগ করবে', এ কারণে সেটিকে লেবাননের আকাশসীমায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি।

মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, উড়োজাহাজটিতে কী ছিল তা স্পষ্ট নয়। তবে মানুষের জীবন হলো অগ্রাধিকার।

 

Comments

The Daily Star  | English

Inside the lives of RMG workers

In the shadowy predawn hours, the air in Ashulia, a small industrial town on the outskirts of Dhaka, is thick with anticipation.

20h ago