বিশ্বের সামরিক ড্রোন বাজারের ৬৫ শতাংশই তুরস্কের নিয়ন্ত্রণে: বায়কার প্রধান

তুরস্কে নির্মিত ড্রোনের সামনে দেশটির প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। ফাইল ছবি: সংগৃহীত
তুরস্কে নির্মিত ড্রোনের সামনে দেশটির প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। ফাইল ছবি: সংগৃহীত

মনুষ্যবিহীন উড়ুক্কু যান (ইউএভি) বা ড্রোন বাজারের ৬৫ শতাংশই এখন তুরস্কের নিয়ন্ত্রণে। তুরস্কভিত্তিক প্রতিষ্ঠান বায়কার এই দাবি করেছে। 

গত বৃহস্পতিবার বিশ্বের সবচেয়ে বড় ড্রোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বায়কারের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে ডেইলি সাবাহ।

এই বাজারের প্রায় ৬০ শতাংশই এককভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে বায়কার নামে একটি প্রতিষ্ঠান। যুদ্ধে উপযোগিতার জন্য তাদের সশস্ত্র ড্রোনগুলো খুবই জনপ্রিয়।

তুরস্কে নির্মিত ড্রোন। ছবি: বায়কারের ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া
তুরস্কে নির্মিত ড্রোন। ছবি: বায়কারের ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া

প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ও প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা সেলজুক বায়রাকতার 'টেইক অফ ইস্তানবুল' অনুষ্ঠানে এই তথ্য জানান। 

'গত তিন বছর ধরে বায়কার বিশ্বের সবচেয়ে বড় ড্রোন প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। বর্তমানে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মার্কিন ড্রোন নির্মাতার চেয়ে বায়কার তিন গুণেরও বেশি বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান', যোগ করেন বায়রাকতার।

তুরস্কের প্রতিরক্ষা ও উড্ডয়ন খাতে নির্ভরতার প্রতীকে পরিণত হয়েছে বায়কার। বর্তমানে সারা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ও দ্রুত উৎপাদন সক্ষমতা সম্পন্ন ড্রোন নির্মাতা হিসেবে পরিচিত তারা।

ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী রাশিয়ার বিরুদ্ধে বায়রাকতার টিবিটু ড্রোন ব্যবহার করার পর এটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিতি পায়। পাশাপাশি, আজারবাইজান ও উত্তর আফ্রিকার যুদ্ধেও এই ড্রোন ব্যবহার হয়।

তুরস্কে নির্মিত ড্রোন। ছবি: বায়কারের ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া
তুরস্কে নির্মিত ড্রোন। ছবি: বায়কারের ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া

প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা সেলজুক বলেন, 'বায়রাকতার টিবি২ বর্তমানে সারা বিশ্বে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হওয়া ড্রোন।'

দেশটির শীর্ষ প্রতিরক্ষা উপকরণ রপ্তানিকারক হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছে বায়কার। ৫৫০ কোটি ডলারের এই খাতের এক তৃতীয়াংশই আসে বায়কারের মাধ্যমে।

২০২৩ সালে বায়কারের রাজস্ব আয়ের ৯০ শতাংশই এসেছিল বিদেশি বাজার থেকে। আগের বছরের ১২০ কোটি থেকে ২০২৩ সালে ১৮০ কোটি ডলারের উন্নীত হয় তাদের রপ্তানি আয়।

তুরস্কে নির্মিত ড্রোন। ছবি: বায়কারের ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া
তুরস্কে নির্মিত ড্রোন। ছবি: বায়কারের ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া

এ বছরের আগস্ট পর্যন্ত ৩৪ দেশে বায়রাকতার টিবিটু ও আরও ১০ দেশে আকিনজি ড্রোন রপ্তানির চুক্তি করেছে বায়কার।

তুরস্কের প্রথম মনুষ্যবিহীন জেট বিমান নির্মাণ করেছে বায়কার, যার নাম রাখা হয়েছে কিজিলেলমা ।

২০২২ সালে পরীক্ষামূলক ফ্লাইটের পর সম্প্রতি বাণিজ্যিক ভাবে এর উৎপাদন শুরু হতে যাচ্ছে।

সেলজুক বলেন, 'বায়কার ভবিষ্যতের দৌড়ের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে। গতকাল বা আজকের জন্য নয়।'

Comments

The Daily Star  | English

Khaleda Zia returns home from London

Khaleda Zia, accompanied by her two daughters-in-law Zubaida Rahman and Syeda Sharmila Rahman, is now on way to her Gulshan residence

2h ago