জিম্মিদের নাম না দেওয়া পর্যন্ত গাজায় যুদ্ধবিরতি নয়: নেতানিয়াহু

টিভিতে বক্তব্য রাখছেন নেতানিয়াহু। ছবি: এএফপি
টিভিতে বক্তব্য রাখছেন নেতানিয়াহু। ছবি: এএফপি

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, হামাস  আজ মুক্তি পেতে যাওয়া জিম্মিদের নাম না দেওয়া পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে না।  অর্থাৎ, পূর্বনির্ধারিত সময়ে (বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে ১২টা) কার্যকর হচ্ছে না এই বিরতি।

আজ রোববার এই তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার অল্প সময় আগে নেতানিয়াহুর বরাত দিয়ে তার কার্যালয় থেকে এ কথা জানানো হয়। নেতানিয়াহু বলেছেন, মুক্তি পেতে যাওয়া জিম্মিদের নাম হামাস ঘোষণা না করা পর্যন্ত এটি কার্যকর হবে না।

নেতানিয়াহুর কার্যালয়ের বিবৃতি মতে, তিনি এখনো ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীকে (আইডিএফ) যুদ্ধ থামানোর নির্দেশ দেননি।

ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাস জানিয়েছে, 'মাঠ পর্যায়ের কারিগরি সমস্যার' কারণে মুক্তি পেতে যাওয়া তিন জিম্মির নাম প্রকাশে দেরি হচ্ছে।

বিবিসি জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির অন্যতম শর্ত হলো মুক্তি দেওয়ার অন্তত ২৪ ঘণ্টা আগে জিম্মিদের নাম ইসরায়েলের কাছে পাঠাতে হবে। তবে আধ ঘণ্টা আগেও এই তালিকা ইসরায়েলের হাতে পৌঁছেনি বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।

এমন কী, কোথায় বন্দি বিনিময় হবে, সেটাও গতকাল রাত পর্যন্ত নিশ্চিত হয়নি। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী সীমান্তের কাছে তিনটি সম্ভাব্য অবস্থান প্রস্তুত রেখেছে। এগুলো গাজার কেন্দ্র, উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত।

গতকাল রাতে নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়কে 'সাময়িক যুদ্ধবিরতি' বলে আখ্যায়িত করেন এবং হুশিয়ারি দেন, যুদ্ধবিরতির কোনো শর্তের লঙ্ঘন হলে আবারও যুদ্ধ শুরুর অধিকার আছে ইসরায়েলের। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সম্মতির কথাও উল্লেখ করেন নেতানিয়াহু।

বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে গাজার বহুল প্রতীক্ষিত যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। প্রথম পর্যায়ে ৪২ দিনের বিরতিতে সম্মতি দিয়েছে হামাস-ইসরায়েল। তবে নেতানিয়াহুর এসব বক্তব্যে আবারও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে এই উদ্যোগ।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh 2025-26 budget

Budget to shrink amid fiscal strain

Bangladesh’s interim government is preparing to unveil a rare contractionary budget on June 2, driven by a sharp rise in interest payment that is crowding out fiscal space and forcing spending cuts.

12h ago