যুক্তরাষ্ট্রে উড়োজাহাজ-হেলিকপ্টার সংঘর্ষ: ২৮ মরদেহ উদ্ধার, ৬৭ জনেরই মৃত্যুর শঙ্কা

স্থানীয় সময় বুধবার রাত ৯টার দিকে রিগান ওয়াশিংটন ন্যাশনাল এয়ারপোর্টের রানওয়ে ৩৩-এর কাছে এই সংঘর্ষ হয়। ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে উড়োজাহাজের সঙ্গে হেলিকপ্টারের সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

তবে, এ দুর্ঘটনায় উড়োজাহাজের ৬০ যাত্রী, ৪ ক্রু ও হেলিকপ্টারের ৩ আরোহীসহ ৬৭ জনের সবাই মারা গেছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আজ বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে এক ব্রিফিংয়ে এ দুর্ঘটনার কথা জানানো হবে বলে সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

স্থানীয় সময় বুধবার রাত ৯টার দিকে রিগান ওয়াশিংটন ন্যাশনাল এয়ারপোর্টের রানওয়ে ৩৩-এর কাছে আমেরিকান এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজের সঙ্গে মার্কিন সেনাবাহিনীর ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টারের এই সংঘর্ষ হয়।

ভার্জিনিয়া, কোস্টগার্ড, ওয়াশিংটন ডিসি ও মেরিল্যান্ডের উদ্ধারকারীরা উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

ভার্জিনিয়ার গভর্নর গ্লেন ইয়ংকিন বলেছেন, 'আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে আমাদের অনেকেই প্রিয়জন হারানোর মর্মান্তিক বাস্তবতা সম্পর্কে জানতে পারছেন।'

ফায়ার সার্ভিস প্রধান বলেন, 'এ দুর্ঘটনার পর উড়োজাহাজ ও হেলিকপ্টারের কেউ বেঁচে নেই বলে ধারণা করা হচ্ছে।'

হেলিকপ্টারটিতে তিনজন সেনাসদস্য ছিলেন বলে জানা গেছে।

মার্কিন ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্ট সেফটি বোর্ডের অধীনে দুর্ঘটনার তদন্তকাজ চলছে।

ছবি: রয়টার্স

আমেরিকান এয়ারলাইনস জানিয়েছে, ফ্লাইট ৫৩৪২-এর দুই পাইলট বাণিজ্যিক ফ্লাইটে অভিজ্ঞ ছিলেন।

মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ বলেন, হেলিকপ্টারটি বার্ষিক দক্ষতা প্রশিক্ষণ ফ্লাইট পরিচালনা করছিল। হেলিকপ্টারটি বিমানবন্দরের কাছে পোটোম্যাক নদীতে বিধ্বস্ত হয়।

কলম্বিয়া ডিস্ট্রিক্ট ফায়ার সার্ভিসের প্রধান জন ডোনেলি বলেন, 'নদী থেকে ২৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি কেউ বেঁচে নেই।'

এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল টাওয়ার ও ব্ল্যাক হকের মধ্যে রেডিও যোগাযোগ থেকে দেখা গেছে, হেলিকপ্টার ক্রুরা জানতেন যে উড়োজাহাজটি কাছাকাছি ছিল।

উড়োজাহাজে বেশ কয়েকজন মার্কিন আইস স্কেটার, পরিবারের সদস্য ও কোচ ছিলেন বলে জানিয়েছে ইউএস ফিগার স্কেটিং গভর্নিং বডি।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladeshi Migrant Workers Deaths Over The Years

In coffins, from faraway lands

Kazi Salauddin, a 44-year-old man from Cumilla, migrated to Saudi Arabia in October 2022, hoping to secure a bright future for his family. But barely a year later, Salauddin, the father of two daughters and a son, died suddenly.

9h ago