শেষ চার জিম্মির লাশ ফেরত, যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা শুরুর আহ্বান হামাসের

জিম্মিদের কফিনের সামনে একজন হামাস যোদ্ধা। ছবি: সংগৃহীত

হামাসের কাছ থেকে জিম্মিদের দেহাবশেষ বহন করা চারটি কফিন গ্রহণ করেছে ইসরায়েল। অপরদিকে গাজা ও অধিকৃত পশ্চিম তীরের কিছু ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল। এটিই ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম ধাপের সর্বশেষ জিম্মি বিনিময়।

আজ বৃহস্পতিবার এএফপি ও সিএনএন জানায়, শনিবার প্রথম ধাপের চুক্তি শেষ হওয়ার আগেই দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে আলোচনায় বসার জন্য ইসরায়েলকে আহ্বান জানিয়েছে হামাস।

এর আগে গত শনিবার জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার সময় হামাসের আনুষ্ঠানিকতাকে 'অপমানসূচক' আখ্যা দিয়ে প্রায় ৬০০ ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তি আটকে দেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। জবাবে হামাস জানায়, ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি না দিলে সর্বশেষ চার জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করবে না তারা।

স্কাই নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শেষে মিশরের মধ্যস্থতায় সর্বশেষ জিম্মিদের মরদেহ অনুষ্ঠান না করেই ফেরত দিতে রাজি হয় হামাস।

হামাসের সূত্র অনুযায়ী, আজ গাজায় গ্রেপ্তার হওয়া ৪৪৫ জন পুরুষের সঙ্গে ২৪ জন নারী ও শিশু মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে। এছাড়া ইসরায়েলের আদালতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া ১৫১ ফিলিস্তিনি বন্দিকেও মুক্তি দেওয়া হবে।

প্রথম ধাপের চুক্তি অনুযায়ী, প্রায় দুই হাজার ফিলিস্তিনি বন্দির বিনিময়ে আট মরদেহসহ ৩৩ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে ফেরত দিতে রাজি হয় হামাস।

১৯ জানুয়ারি শুরু হওয়া ৪২ দিনের এই চুক্তি শেষ হবে আগামী শনিবার।

আজ এক টেলিগ্রাম বিবৃতিতে ইসরায়েলকে দ্বিতীয় ধাপের চুক্তির জন্য আলোচনায় বসার আমন্ত্রণ জানায় হামাস।

বিবৃতিতে বলা হয়, 'এখন আলোচনা শুরু করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই ইসরায়েলের কাছে।'

Comments

The Daily Star  | English
political reform in Bangladesh

Pathways to a new political order

The prospects for change are not without hope in Bangladesh.

11h ago