দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউনকে মুক্তির আদেশ

দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল। ছবি: এএফপি
দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল। ছবি: এএফপি

দক্ষিণ কোরিয়ার একটি আদালত অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে মুক্তির আদেশ দিয়েছে। জানুয়ারিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

আজ শুক্রবার এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি।

ইউনের আইনজীবীদের দাবি, আদালতের আদেশ সত্ত্বেও এখনো ইউনকে আটকে রাখা হয়েছে।

ইতোমধ্যে প্রেসিডেন্টের পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন ইউন। এই সিদ্ধান্ত স্থায়ী হবে কি না, তা খুব শিগগির জানা যাবে।

গত মাসে ইউনের আইনজীবীরা তার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বাতিলের আবেদন জমা দেয়। তারা যুক্তি দেন, ইউনকে আটক রাখা বেআইনি, কারণ কৌঁসুলিরা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করতে অনেক বেশি সময় নিয়েছেন।

সিউলের কেন্দ্রীয় জেলা আদালতের নথিতে বলা হয়, 'সকল যুক্তি বিবেচনায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে ইউনকে আটকে রাখার সময়সীমা পার হয়ে যাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।'

'প্রক্রিয়াগত স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে এবং তদন্ত প্রক্রিয়ার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে সন্দেহ দূর করতে (ইউনের) আটকাদেশ বাতিল করাই যুক্তিসঙ্গত কাজ', আদালত জানায়।

সাবেক কৌঁসুলি ইউন সুক ইওল হঠাত করে সামরিক শাসন জারি করে দক্ষিণ কোরিয়ায় রাজনৈতিক সংকট তৈরি করেন। সামরিক শাসন জারির পর পার্লামেন্টে সেনা মোতায়েন করেন তিনি।

তবে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আইনপ্রণেতাদের ভোটে সামরিক শাসন বাতিল হয়।

পরবর্তীতে ইউনের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান উসকে দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়।

১৫ জানুয়ারি ইউনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

শিগগির সাংবিধানিক আদালতে তাকে অভিশংসন করার বিষয়টি নিয়ে শুনানি হবে। এই শুনানিতেই নির্ধারণ হবে তার অপসারণ বৈধতা পাবে কি না।

Comments

The Daily Star  | English
enforced disappearance in Bangladesh

Enforced disappearance: Anti-terror law abused most to frame victims

The fallen Sheikh Hasina government abused the Anti-Terrorism Act, 2009 the most to prosecute victims of enforced disappearance, found the commission investigating enforced disappearances.

8h ago