ওয়াশিংটনসহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ

ওয়াশিংটন ডিসিতে ট্রাম্পবিরোধীদের বিক্ষোভ। ৫ এপ্রিল, ২০২৫। ছবি: রয়টার্স

ওয়াশিংটন ডিসিসহ যুক্তরাষ্টের বিভিন্ন শহরে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার ধনকুবের সহযোগী ইলন মাস্কের সরকার সংস্কার ও প্রেসিডেন্টের কর্তৃত্ব বাড়ানোর বিরুদ্ধে এটি একটি বড় বিক্ষোভ।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার ওয়াশিংটনে বৃষ্টির মধ্যেও ট্রাম্পবিরোধীরা বিক্ষোভ করেন।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, এছাড়া ন্যাশনাল মলে একটি সমাবেশে ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ অংশ নিয়েছেন ধারণা করা হচ্ছে।

ইভেন্টের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ১৫০টি অ্যাক্টিভিস্ট গ্রুপ এতে অংশ নিতে নিবন্ধন করেছে। প্রায় ৫০টি অঙ্গরাজ্যে বিক্ষোভের পরিকল্পনা করা হয়।

নিউ জার্সির প্রিন্সটনের অবসরপ্রাপ্ত বায়োমেডিক্যাল বিজ্ঞানী টেরি ক্লেইন ওয়াশিংটন মনুমেন্টের নিচে মঞ্চে জড়ো হয়েছিলেন। তিনি বলেন, অভিবাসন থেকে শুরু করে ডিওজিই কর্মী ছাটাই, এ সপ্তাহে শুল্ক আরোপ, শিক্ষা সবকিছুতে ট্রাম্পের নীতির প্রতিবাদ জানাতে তিনি সমাবেশে যোগ দিয়েছেন।

'আমি বলতে চাইছি, আমাদের পুরো দেশ অস্থিরতার মধ্যে আছে,' বলেন তিনি।

দিনভর চলা বিক্ষোভে কারো হাতে ছিল ইউক্রেনের পতাকা। আবার কেউ কেউ ফিলিস্তিনি কেফিয়াহ স্কার্ফ পরেছিলেন। তাদের হাতে ছিল 'ফ্রি প্যালেস্টাইন' লেখা পোস্টার। ওই সময়ে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের ডেমোক্র্যাটরা মঞ্চে ট্রাম্পের নীতির সমালোচনা করেন।

ওহাইওর ২০ বছর বয়সী ইন্টার্ন কাইল একাই ট্রাম্পের সমর্থক ছিলেন। তিনি 'মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন' টুপি পরে ওয়াশিংটন ডিসির সমাবেশের এক প্রান্তে হাঁটছিলেন। এ সময় তিনি বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে বিতর্কে জড়াচ্ছিলেন বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

স্ট্যামফোর্ডের ৭৪ বছর বয়সী অবসরপ্রাপ্ত অ্যাটর্নি পল ক্রেটশম্যান বলেন, তিনি প্রথমবারের মতো কোনো বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন।

'আমার উদ্বেগ হলো সামাজিক সুরক্ষা ধ্বংস হতে যাচ্ছে। আমরা সুবিধাগুলো হারাতে যাচ্ছি,' বলেন তিনি।

Comments